Kode Iklan atau kode lainnya

সাদা কাপড়ে মোড়া প্রতীকি লাশ! মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের

নিউজ ডেস্ক: ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ স্তরের মেধাতালিকা ভুক্ত অথচ চাকরি থেকে বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের যে ধর্ণা চলছে, আজ তার ১০৫ তম দিন। এবার বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের ধর্ণা কঠোরতম পথে অগ্রসর হলো। সাদা কাপড়ে মোড়া দেহ গুলি সারি সারি প্রতীকি লাশ হিসেবে শুয়ে রয়েছে। বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীরা জানিয়েছেন যে তাদের ন্যায্য চাকরি ফিরে না পেলে হয়তো এই প্রতীকি লাশ বাস্তবে পরিণত হবে। 

বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের অভিযোগ, তারা মেধাতালিকা ভুক্ত সামনের  Rank  এ থাকা চাকরি প্রার্থী হয়েও চাকরিতে এখনও নিয়োগপত্র পাননি অথচ তাদের পিছনের Rank  এ থাকা বহু প্রার্থীদের চাকরিতে নিয়োগ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, মেধাতালিকায় কোথাও নাম নেই এমন ফেলকরা বহু প্রার্থীদের ও চাকরিতে নিয়োগ করা হয়েছে এমনটাই তাদের অভিযোগ। ধর্ণারত বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের দাবি মেধাতালিকা ভুক্ত সকল চাকরি প্রার্থীদের অতি দ্রুত চাকরিতে নিয়োগ করতে হবে। 

এই দাবিতে  ২০১৯ সালে কলকাতার প্রেসক্লাবের সামনে যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চের ব্যানারে তারা ২৯ দিন ব্যাপী অনশন ও করেছিলেন। উক্ত মঞ্চে রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়া স্বয়ং উপস্থিত হয়ে অনশনরত বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের আশ্বাস দিয়েছিলেন যে মেধাতালিকা ভুক্ত কোন চাকরি প্রার্থীদের বঞ্চিত করা হবে না। প্রয়োজনে আইনের কিছু পরিবর্তন করে হলেও মেধাতালিকা ভুক্ত অথচ বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের চাকরিতে নিয়োগের সুব্যবস্থা করা হবে। 

কিন্তু ২০১৯ সালে দেওয়া রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস ২০২২ সালে এসেও কার্যকর হয়নি, চাকরিতে নিয়োগপত্র পাননি বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীগণ। এমনটাই জানিয়েছেন তারা। যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চের স্টেট কো-অর্ডিনেটর সুদীপ মন্ডল বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের পক্ষ থেকে রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে কাতর আবেদন রেখেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ভীষণ প্রয়োজন, তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য। ধর্ণা মঞ্চের রাজ্য নেতৃত্ব সুদীপ মন্ডল জানিয়েছেন যে রাজ্যের জনদরদী নেত্রী মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়া তাদের সমস্যার বিষয়ে হস্তক্ষেপ করলেই সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে এবং বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীগণ তাদের ন্যায্য চাকরি ফিরে পাবেন।

close