Kode Iklan atau kode lainnya

নিট পরীক্ষাতেও তাক লাগানো ফল করলেন উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্যে প্রথম হওয়া রুমানা সুলতানা

 

নিউজ ডেস্ক: এই বছরে উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফলে রাজ্যের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন  মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দির রুমানা সুলতানা। করোনা আবহে পরীক্ষা না হওয়ায় মাধ্যমিক ও একাদশের ফলের উপর ভিত্তি করেই নম্বর দেওয়া হয়। ৫০০ তে সর্বোচ্চ নম্বর ৪৯৯ পেয়েছিলেন রুমানা সুলতানা। কান্দির রাজা মণীন্দ্রচন্দ্র উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী রুমানা। 

সদ্য প্রকাশিত ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষাতেও (নিট) তাকে লাগানো ফল করেছেন রুমানা। NEET পরীক্ষায় ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি ও বায়োলজি তিনটে বিষয়েই দারুন নম্বর পেয়েছেন তিনি।  প্রথম প্রচেষ্টাতেই ৭২০ নম্বরের মধ্যে ৬৭৭ নম্বর পেয়ে সর্বভারতীয় র‌্যাঙ্ক ১০৫৭ অর্জন করেছেন রুমানা। মোট হিসাবে ৯৯.৯২৯১৫৭৬ পার্সেন্টইল নম্বর পেয়েছেন তিনি।  রুমানার সাফল্যে আনন্দিত মুর্শিদাবাদবাসী। 

উল্লেখ করা যেতে পারে, ২০১৯ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যে পঞ্চম স্থান অধিকার করেন রুমানা সুলতানা। ২০২১ সালে উচ্চ মাধ্যমিকেও মেয়েদের মধ্যে রাজ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন তিনি। নিট পরীক্ষার জন্য বাড়িতেই প্রস্তুত নিচ্ছিলেন কান্দি রাজা মনিন্দ্র চন্দ্র উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের এই কৃতী ছাত্রী। পরীক্ষায় বসতেই কার্যত বাজিমাত করলেন রুমানা সুলতানা।

অন্যদিকে, সর্বভারতীয় ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষায় (নিট) দেশের মধ্যে ১৯ র‌্যাঙ্ক করে চমক দিলেন সোনামুখীর ছাত্র সৌম্যদীপ হালদার। তিনি রাজ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। দিল্লির এইমস-এ পড়তে চান সৌম্যদীপ।

সোনামুখীর ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সৌম্যদীপ ছোট থেকেই পড়াশোনায় মেধাবী। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে তিনি ৯৫ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন। নিট পরীক্ষাতেও চূড়ান্ত সাফল্য পেয়ে ৭২০-র মধ্যে ৭১৫ নম্বর পেয়েছেন তিনি। 

এই বিষয়ে সৌম্যদীপ বলেন, আশা করেছিলাম ভালো ফল হবে। কোচিং সেন্টারে বিভিন্ন সময় টেস্টে ভালো ফল এসেছিল। দিল্লির এইমস-এ পড়ার ইচ্ছা রয়েছে। 

সৌম্যদীপের বাবা চন্দ্রভানু হালদারের সোনামুখীতেই ওষুধের ব্যবসা রয়েছে। সেখানেই বিভিন্ন ডাক্তার চেম্বার করেন। সৌম্যদীপের দাবি, তাঁদের চেম্বারে আসা চিকিৎসকরা তাঁকে পড়াশোনায় উৎসাহ দিতেন। তাই প্রথম থেকেই ডাক্তারি পড়ার ইচ্ছা তৈরি হয়। 

সৌম্যদীপের এই সাফল্যে খুশি পরিবার সহ এলাকার বাসিন্দারা।

close