Kode Iklan atau kode lainnya

এতগুলো ছেলেমেয়ের সাথে প্রতারণা করলেন স্যার? মাণিক ভট্টাচার্যকে নিয়ে তীব্র ক্ষোভ চাকরি প্রার্থীদের

 

নিউজ ডেস্ক: এর আগে ঘোষণা করা হয়েছিল শীঘ্রই প্রকাশ করা হবে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা টিচার এলিজিবিলিটি টেস্টের ফল। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে পরীক্ষা হলেও এখনও সেই ফল এখনও প্রকাশ করা হয়নি। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য ঘোষণা করেছিলেন পুজোর আগেই ফলপ্রকাশ করা হবে প্রাথমিকের টেটের। যদিও এখনও পর্যন্ত তা করা হয়নি।

এই বছর যেই পরীক্ষাটি হয় তা ২০১৭ সালে হওয়ার কথা ছিল। চারবছর পর চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় শেষমেষ। রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে অনিয়ম এবং ক্ষোভ দীর্ঘদিনের। নিয়োগ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বছরের পর বছর মামলা চলছে টেট নিয়ে। এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষায় স্বচ্ছতা বজায় রাখা এখটি বড় চ্যালেঞ্জ পর্ষদের কাছে। 

পরীক্ষার ফলের অপেক্ষায় আছেন রাজ্যের কয়েক লক্ষ্য চাকরি প্রার্থী। এরই মধ্যে পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর একটি অডিও বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই ভিডিওটি সত্যতা বিশ্ব বার্তা যাচাই করেনি। এই ভিডিওটিতে পর্ষদ সভাপতি ২০১৪ সালের নন ইনক্লুডেড চাকরি প্রার্থীদের কথা তুলে ধরছেন। তাঁদের আন্দোলনের কারণেই যেন বর্তমান এই পরিস্থিতি এমনই দাবি করছেন তিনি। তিনি বলছেন, একটা চাকরির পরীক্ষায় সবাই নিয়োগ পাননা, তারপরেও সবাইকে নিয়োগ দিতে হবে বলে আন্দোলন করছেন নট ইনক্লাউডেড চাকরি প্রার্থীরা। পর্ষদ সভাপতির বক্তব্য অনুসারে, এই সব কারণে রাজ্যকে ভাবতে হচ্ছে। ফলে ফল প্রকাশে দেরি হচ্ছে।

এই নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছেন চাকরি প্রার্থীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁরা লিখেছেন, “এতগুলো ছেলেমেয়ের সাথে প্রতারণা করলেন স্যার(পড়ুন মাণিক ভট্টাচার্য)! আপনি তো আমাদের ডিএলএড দের অভিভাবক। আমাদের সার্টিফিকেটে সই টাও আপনারই। ৩ মাস আগে বললেন পুজোর আগে নিশ্চিত রেজাল্ট দেবেন। এত বড় পদে আসীন, একজন পর্ষদ সভাপতি, একজন বিধায়ক হয়ে ন্যাশনাল মিডিয়াতে বসে এরকম মিথ্যাচার করলেন? আপনিও তো একজন পিতা।

সন্তানসম ছাত্রছাত্রীদের সাথে এরকম প্রতাড়না করতে একটুও বিবেকে বাঁধলো না? পুজোর আগে ছেলেমেয়েগুলোর থেকে হাসি আনন্দ সবকিছু কেড়ে নিলেন। এই পাপের বোঝা বইতে পারবেন? এতজনের চোখের জল এত অভিশাপ নিয়ে শান্তিতে থাকতে পারবেন স্যার? ২০১৪ সালের একটা টেট থেকে ৫ বছর ধরে দফায় দফায় বারে বারে ৭০০০০ নিয়োগ করে গেলেন, এখনো অন্যায্য, অযৌক্তিক কথা বলে অযুহাত দেখিয়ে আমাদের সাথে প্রতারণা করতে পারলেন? ছিঃ ছিঃ ছিঃ।

৭০০০০ নিয়োগ হওয়ার পরেও মেরিটে না আসা প্রার্থীদের অযুহাত দেখিয়ে ৪ বছর ধরে বঞ্চনার শিকার, একটাও নিয়োগ না পাওয়া প্রার্থীদের রেজাল্টটাও আটকে দিলেন। এতো বড়ো মানুষ হয়ে এরকম মিথ্যাচার, এরকম ছোটো মানসিকতার পরিচয় রাখেন কি করে! একটুও কি বিবেক, মনুষ্যত্ব অবশিষ্ট নেই?”

close