Kode Iklan atau kode lainnya

এখনই দিতে হবে না জরিমানা, প্রাথমিকের প্রশ্ন ভুল মামলায় আপাতত স্বস্তিতে মানিক ভট্টাচার্য

 

নিউজ ডেস্ক: কিছুটা স্বস্তি পেলেন প্রাথমিক পর্ষদ সভাপতি। প্রাথমিকে ভুল প্রশ্ন মামলায় আপাতত স্বস্তি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের৷ এখনই জরিমানা দিতে হবে না পর্ষদ সভাপতিকে। পরবর্তী শুনানির সময় এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ৷ 

২০১৮ সালে হাইকোর্ট ভুল প্রশ্নের জন্য তাদের নম্বর দিতে বললেও তা দেয়নি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ফলে আদালত অবমাননার মামলা হয়। কিন্তু সেই মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় পর্ষদ ২০১৮ সালের নির্দেশ দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে চ্যালেঞ্জ করে। সফল না হওয়ায় যায় সুপ্রিম কোর্টে। সেখানেও সাফল্য অধরা থাকে। এই অবস্থায় ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু এই মামলাকারীদের সেখানে যোগ দিতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ ওঠে। জানুয়ারি মাসে হাইকোর্ট তাদের ওই প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতে বলে। যাবতীয় নথিসহ আবেদন জমা করেও সেই সুযোগ তারা পায়নি। এমনই প্রেক্ষাপটে  হাইকোর্ট মামলা করেন ১৯ জন বঞ্চিত প্রার্থী।

কিছুদিন আগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, সাতদিনের মধ্যে মামলাকারী ১৯ জনকে ছয় নম্বর দিতে হবে। এর ফলে টেট পাস করলে সকলকে দিতে হবে টেট শংসাপত্র। তার পরের এক সপ্তাহে এদের ইন্টারভিউ নিতে হবে। তার ভিত্তিতে নিয়োগ করতে হবে। স্পষ্টভাবে এও বলে দেওয়া হয়েছে, এই নির্দেশ নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে পালিত না হলে পর্ষদ কোনও নিয়োগ করতে পারবে না। অন্যদিকে, নির্দেশ এড়িয়ে বারংবার মামলাকারীদের মামলা করতে বাধ্য করার জন্য প্রত্যেক আবেদনকারীকে পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য নিজের পকেট থেকে ২০ হাজার করে টাকা দেবেন। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য্যকে ব্যক্তিগত ৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করেছিল আদালত৷

সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানাই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ৷ তাঁতে কিছুটা ষষ্ঠী মিলেছে পর্ষদ সভাপতির। এদিন অন্তর্বর্তী নির্দেশে আদালত জানান, আপাতত জরিমানার টাকা দিতে হবে না মানিকবাবুকে৷ এ বিষয়ে পরবর্তীকালে সিদ্ধান্ত নেবে ডিভিশন বেঞ্চ।

আজ বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছে, আদালতের শুনানিতে দেরি হলে বোর্ড প্রেসিডেন্ট কেন টাকা দেবেন? আপাতত তাই জরিমানা দেওয়ার ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৪ অক্টোবর ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, মানিক ভট্টাচার্য জরিমানা দেবেন কি না।

জরিমানা না দিতে হলেও প্রশ্নভুল মামলায় ডিভিশন বেঞ্চেও অস্বস্তিতে থাকলপ্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ মেনেই চাকরির সুপারিশ করতে হবে পর্ষদকে। ১-লা অক্টোবরের মধ্যে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ কার্যকর করে চাকরি দিতে হবে ১৯ জন মামলাকারীকে। 

২০১৪ সালে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে ভুল প্রশ্নপত্র মামলায় ১৯ জন প্রার্থীকে অবিলম্বে নিয়োগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদকে। নিয়োগ সংক্রান্ত সেই রিপোর্ট আগামী ১ অক্টোবরের মধ্যে হাইকোর্টে জমা করতে হবে। এরপরেই মানিকবাবুর জরিমানার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ।  

মামলাকারী পায়েল বাগ ও অন্যদের আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুদীপ্ত দাশগুপ্ত আদালতকে জানান, তথ্য জানার অধিকার আইন অনুযায়ী প্রাপ্ত নথি খতিয়ে দেখে বোঝা গিয়েছিল, প্রশ্নপত্রের ছ’টি প্রশ্ন ও তার উত্তর ভুল ছিল। হাইকোর্ট শিক্ষাবিদদের দিয়ে তা যাচাই করার পরই মামলাকারীদের পক্ষে রায় দিয়েছিল। অথচ, ওই ভুল প্রশ্নগুলির ভুল উত্তর দিয়েও অনেকেই চাকরি পেয়ে গিয়েছে। ভুল প্রশ্ন মামলায় বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, যাঁরা টেটে ভুল প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন (ভুল হোক বা ঠিক) তাঁদের ১ নম্বর করে দিতে হবে এবং ওই নম্বর পাওয়ার পর কেউ চাকরি পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে নিলে, তাঁকে চাকরিও দিতে হবে৷

close