Kode Iklan atau kode lainnya

মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরােধে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি

 

নিউজ ডেস্ক: এবছর হবে না মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল বলে ঘোষনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী জানান, পরীক্ষা হবে কি না হবে তার জন্য যে পাবলিক মতামত জানতে চাওয়া হয়েছিল। তাঁতে মাধ্যমিক না হওয়ার পক্ষে জনমত পড়েছে ৭৯ শতাংশ। উচ্চমাধ্যমিক না হওয়ার পক্ষে জনমত পড়েছে ৮৩ শতাংশ। তিনি আরও জানান, মতামত জানিয়ে সরকারের কাছে ৩৪ হাজার ইমেল এসেছে। সাধারণ মানুষের মতামত কে প্রাধান্য দিয়েই পরীক্ষা বাতিলের সিধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তবে মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিলের বিষয়টি মানতে পারছে না বেশিরভাগ শিক্ষক সংগঠনগুলো। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার অনুরােধ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠাল মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি। তাঁদের দাবি, পরীক্ষা বাতিলের কারণে পড়ুয়াদের মধ্যে মানসিক চাপ ও অবসাদ বেড়ে যাচ্ছে। বেশিরভাগ শিক্ষক ও শিক্ষক সংগঠনই পরীক্ষার পক্ষে মত দিয়েছেন, তা সত্ত্বেও সেই মতের গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে তাঁদের  ফলে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নেওয়া উচিত বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন তাঁরা। পরীক্ষার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার দাবি তুলেছে শিক্ষক সংগঠন শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চও।

শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, ‘সবাইকে পাশ করিয়ে দেওয়ার মধ্য দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে শিক্ষাক্ষেত্রে এক নজির সৃষ্টি হতে চলেছে। এতে ছাত্র-ছাত্রীদের মঙ্গল হবে না বরং তাদের অন্ধকার ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দেওয়া হল। ন্যূনতম গুণগত মান যাচাই না করে ভালো-মন্দ সকলকে এক আসনে বসানো হলো। এর ফলে ভবিষ্যতে প্রাতিষ্ঠানিক বিদ্যালয় শিক্ষা ব্যবস্থা বিরাট ধাক্কা খাবে। 'নো ডিটেনশন পলিসি', 'অনলাইন এডুকেশন সিস্টেম' কিংবা 'ওপেন বুক এক্সাম' ইত্যাদির মত গুণগতমান ও শিক্ষাবিরোধী পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে সরকার এগিয়ে গেল। এর ফলে সামগ্রিকভাবে শিক্ষার মান অত্যন্ত সংকটের দিকে এগোবে সন্দেহ নেই। শিক্ষিত এবং অশিক্ষিত ব্যক্তির মধ্যে গুণগত পার্থক্য আরো আরো কমে আসবে। যা সামগ্রিক শিক্ষার ক্ষেত্রে এক অশনী সংকেত।’

close