Kode Iklan atau kode lainnya

চাকরির স্থায়ীকরনের দাবি আংশিক সময়ের শিক্ষকদের, দাবি পূরণ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি

 

নিউজ ডেস্ক: করোনা ভাইরাসে যখন সব কিছুই বন্ধ তখন স্কুল থেকে সামান্য মজুরিটাও দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিদ্যালয়ের আংশিক সময়ের শিক্ষকদের। গৃহশিক্ষকতা বন্ধ। চরম অর্থনৈতিক সঙ্কট, হতাশায় ভুগছেন সবাই। এই অবস্থায় রাজ্যের মুখাপেক্ষী স্কুলের আংশিক সময়ের শিক্ষকেরা।  চাকরির স্থায়ীকরনের আবেদন জানাচ্ছেন তাঁরা।

এই পরিস্থিতিতে পার্টটাইম টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির তরফ থেকে রীণা মণ্ডলের নেতৃত্বে শালবনির বিধায়ক তথা রাজ্যের ক্ষুদ্র, মাঝারি শিল্প এবং বস্ত্র মন্ত্রী মাননীয় শ্রীকান্ত মাহাতো মহাশয়ের সাথে সাক্ষাত করে উনাকে একটি স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হয়। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পক্ষ থেকে তাঁর কাছে আবেদন করা হয় মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর কাছে তাদের বিষয়টি তুলে ধরার জন্য। মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী যাতে বিদ্যালয়ের আংশিক শিক্ষকদের স্থায়ীকরণের বিষয়টি বিবেচনা করেন এবং করোনা পরিস্থিতিতে বিদ্যালয়ের আংশিক শিক্ষকদের দুরবস্থা দুর করার জন্য যথাযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেন, সংগঠনের পক্ষ থেকে এই আবেদন জানানো হয়। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি সমীর কুমার দেওঘোরিয়া জানান, এই করোনা পরিস্থিতিতে যদি সরকার তাদের দাবি না মানেন তাহলে লকডাউন শেষে কলকাতার রাজপথে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

পার্টটাইম স্কুল টিচার্স এন্ড এমপ্লয়িজ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সভাপতি প্রলয় কুমার গুড়িয়া বলেন, আমরা হাই স্কুলের পার্টটাইম শিক্ষক শিক্ষিকা, পশ্চিমবঙ্গের সরকারি হাই স্কুল গুলিতে পরিচালন সমিতির দ্বারা ইন্টারভিউ দিয়ে নিযুক্ত হয়েছিলাম। আমরা প্রত্যেকেই উপযুক্ত এবং এমএ, এমএসসি এবং বিএড ডিগ্রী আছে। আমরা স্কুলগুলিতে অতি সাফল্যের সঙ্গে ক্লাস নেওয়া, পরীক্ষার খাতা দেখা, প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা নেওয়া, মিড-ডে-মিল দেওয়া ইত্যাদি কাজ করতে হয়। অথচ আমাদের চাকরিটা স্থায়ী নয়। স্কুলে আমাদেরকে নানাভাবে অবজ্ঞা ও অপমানিত করেন স্থায়ী শিক্ষকরা। আমাদের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার দিনগুলোতে স্কুলে পরীক্ষার যাবতীয় কাজ করতে হয়। আমরা মাত্র 1000 থেকে 2000 টাকা মাইনে পেতাম, এই করোনা কালে গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত স্কুল থেকে কোনো বেতন দেওয়া হয়নি। এই লকডাউন এর মধ্যে অনেক শিক্ষকরা সবজি বিক্রি করছেন বা 100 দিনের কাজ করছেন। পরিবহন শ্রমিক, হকার এবং রেশন ডিলার দের জন্য ভ্যাকসিন এর ব্যবস্থা করা হয়েছে কিন্তু অতি দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আমাদের মতো সমাজের শিক্ষিত নাগরিকদের জন্য ভ্যাকসিন এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। আমাদের সংগঠন 2011 সাল থেকে সরকারকে জানিয়ে আসছে কিন্তু তার ফল শূন্য। আমরা খুব অসহায়।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে করজোড়ে বিনীতভাবে আবেদন কলেজ পার্ট টাইম শিক্ষকদের যে ভাবে স্থায়ী করণ করা হয়েছে, স্কুল পার্টটাইম শিক্ষকদেরকে এইভাবে স্থায়ীকরণ করা হোক। এই স্কুল পার্টটাইম শিক্ষকদের বেশির ভাগেরই বয়স 40 বছর পেরিয়ে গেছে, আর কোথাও সরকারি চাকরির বয়স সীমা নেই।আপনারা আমাদের বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্থায়ীকরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় সেই ব্যবস্থা করা হোক। মানবিক সরকার কলেজ পার্ট টাইমার দের স্থায়িকরন এর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, দুজনদের কাজ যখন সমান তাহলে কেন আমরা বঞ্চিত হয়ে থাকবো? সরকার আমাদের জন্য মানবিক হবেন কবে?’

close