Kode Iklan atau kode lainnya

SSC: 'কোনভাবেই যোগ্য ব্যক্তিদের চাকরি বাতিল করা চলবে না, সবাই অযোগ্য তা হতে পারে না'

ওয়েস্ট বেঙ্গল স্কুল সার্ভিস কমিশনের (WBSSC)

এসএসসি নিয়োগ: ২৫ হাজার চাকরি বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। একই সঙ্গে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে বলেছে আদালত। এদিন রায় ঘোষণার কিছু পরেই সাংবাদিক বৈঠক করেন SSC র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। তিনি এদিনের রায়ে কিছুটা উষ্মা প্রকাশ করেন। কমিশন এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, 'অমরা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম থেকে খবরটি শুনালাম। আমরা অর্ডারটি দেখে আমাদের আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলবো। সিবিআই যে তদন্ত করছিল, তাতে মোটামুটি ৫ হাজার জনের চাকরি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। আর চাকরি করছিলেন ২৪ হাজারের বেশি শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী। তাহলে এই ৫ হাজার বাদ দিয়ে বাকি ১৯ হাজার জনের চাকরি যাওয়ার বিষয়ে আদালত কী যুক্তি দিচ্ছেন, তা জানতে হবে।'

মহামান্য কলকাতা আদালতের রায় প্রসঙ্গে রাজ্যের একটি দায়িত্বশীল শিক্ষক সংগঠন হিসেবে মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি (STEA)'র সভাপতি গৌতম মহান্তি ও সাধারণ সম্পাদক নীলকান্ত ঘোষ তাঁদের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে জানান, "সমিতি মনে করে অনৈতিক উপায়ে প্রাপ্ত চাকরি বাতিল করা একেবারে ঠিক কাজ। এই অনৈতিক নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত শিক্ষা প্রশাসনের আমলা তথা নেতা মন্ত্রীদের কঠোর শাস্তি প্রদান করার দাবি করছি। সমান্তরাল ভাবে উপযুক্ত যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি প্রাপ্তদের চাকরি নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়া কাম্য নয়,  সমিতি সর্বতোভাবে তাদের পাশে আছে এবং থাকবে।  যোগ্য অথচ বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের নিয়োগের দাবিতে ন্যায্য অধিকার আদায়ে আমাদের সমিতি লড়াই আন্দোলন চালিয়ে যাবে।"

২০১৬ পরবর্তী সময়ে নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর জন্য নিযুক্ত শিক্ষক শিক্ষিকা এবং গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের নিয়োগ প্রসঙ্গে মহামান্য কলকাতা উচ্চ ন্যায়ালয়ের ২৮২ পাতার রায় খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি (STEA)।

শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, "কোনভাবেই যোগ্য ব্যক্তিদের চাকরি বাতিল করা চলবে না। সবাই অযোগ্য - কোনোভাবেই তা হতে পারে না। সঠিক বিচার চাই। তথ্য যাচাইয়ের ক্ষেত্রে সরকার এবং এসএসসিকে বাধ্য করে অযোগ্যদের আলাদা করে চিহ্নিত করতে হত তদন্তকারী সংস্থাকে। এসএসসির দুর্নীতির বিরুদ্ধে রায়ের মধ্য দিয়ে যেন কোনোভাবেই যোগ্য ব্যক্তিরা শাস্তি না পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। দীর্ঘদিন রাস্তায় পড়ে থাকা যোগ্য বঞ্চিতরা দ্রুত নিয়োগ পাক। শুধু তাই নয়, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত সমস্ত মাথাকে দৃষ্টান্তমূলক চরম শাস্তি দিতে হবে।"

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গ্রুপ C, গ্রুপ D এবং নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশের ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। এর পাশাপাশি, চার সপ্তাহের মধ্যে অতিরিক্ত শূন্যপদে চাকরিপ্রাপকদের ১২ শতাংশ সুদ-সহ বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থীর OMR শিট পুনর্মূল্যায়নেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশ, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত চালিয়ে যাবে সিবিআই। যাকে প্রয়োজন, তাকেই হেফাজতে নিতে পারবে তারা। এর পাশাপাশি, টেন্ডার ডেকে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে SSC-কে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

close