Kode Iklan atau kode lainnya

SSC দুর্নীতির টাকা ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হোক: বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য; তবে কি ৫০০০ চাকরি বাতিল হবে?

এসএসসি নিয়োগ

এসএসসি নিয়োগ: তবে কি বাতিল হবে চাকরি? স্কুল সার্ভিস কমিশনের চাকরি 'বাতিল' নিয়ে বিরাট মন্তব্য করেছে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ। ৫০০০ চাকরি বাতিলের ভবিষ্যৎ কি? সুপ্রিম পথে হেঁটে শুনানি শেষ রায়দান স্থগিত রেখেছে বিশেষ বেঞ্চ।  গত ৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় মূল পর্বের শুনানি। প্রায় সাড়ে তিন মাস চলল এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি। 

এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে শেষ কয়েক সপ্তাহ কার্যত প্রতিদিন শুনানি চলেছে। এদিন বিচারপতি দেবাংশু বসাকের পর্যবেক্ষণ, ‘এই নিয়োগপ্রক্রিয়া থেকে ভাল কিছু খুঁজে পাওয়া কঠিন। অতিরিক্ত নিয়োগ সরাসরি বাতিল হাওয়া উচিত।’

আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের সওয়াল, ‘এটা সুপরিকল্পিত অপরাধ। ঘোষিত শূন্যপদের থেকেও বেশি সংখ্যক ব্যক্তিকে নিয়োগ করা হয়েছে। এই অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের টাকা নয়ছয় করা হয়েছে। প্রশাসনিক স্তরে যে আধিকারিকরা যুক্ত তাদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করা হোক। এই সব টাকা ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হোক। এই মামলার প্রেক্ষিতে আদালত যদি দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ না নেয় তাহলে এই অপরাধপ্রবণতা কমবে না। অপরাধীরা এই ধরনের অপরাধ করতেই থাকবে। এই আদালত তো OMR দেখার সুযোগ দিয়েছিল। কজন এসে বলেছেন যে এই OMR আমার নয়?’

এরপরই বিচারপতি বসাক জানান, ‘বিধিবদ্ধ সংস্থার আধিকারিকদের জন্য ফৌজদারি মামলা তো আছেই।’ তখনই সওয়াল করেন বিতর্কিত চাকরি প্রাপকদের আইনজীবী প্রমিত রায়। তিনি বলেন, ‘এসএসসি এবং CBI, কেউই বিশ্বাসযোগ্য নয়। আদালত নিজের স্বতন্ত্র সিদ্ধান্তের ওপর বিশ্বাস রাখুক।’

বিচারপতি প্রশ্ন করেন, তাহলে কার ওপর আমরা বিশ্বাস করব?  তবে রায় ঘোষণা স্থগিত রাখা হয়েছে। নিয়োগের দুর্নীতি নিয়ে আদালত যে মন্তব্য করেছে, তাতে রায়েরই ইঙ্গিত রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর মামলা পাঠানো হয়, বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে। তদন্ত শেষ করতে ডেডলাইন বেঁধে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। বলা হয়, ২ মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে তদন্ত প্রক্রিয়া। ৬ মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে বিচার প্রক্রিয়া। শীর্ষ আদালতের নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই বুধবার শেষ হল নিয়োগ মামলার শুনানি। রায় দ্রুতই দেওয়া হবে।

close