Kode Iklan atau kode lainnya

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জে করে ডিভিশন বেঞ্চে গেল পর্ষদ

প্রাথমিকের প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ

নিউজ ডেস্ক: আদালতের ছাড়পত্র মেলার পরেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ৯ হাজার ৫৩৩ পদে শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য মেধাতালিকা প্রকাশ করে। এরপরেই মামলা দায়ের করেছিলেন বেশ কয়েকজন। সেই আবেদনে সম্মতি দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। সেই মামলার শুনানিতেই বিচারপতি জানালেন, এই প্রার্থীদের জন্য আলাদা মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে। তবে মূল তালিকাকে স্পর্শ করা যাবে না।

কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশে জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ৯ হাজার ৫৩৩ জনের যে প্যানেল প্রকাশ করা হয়েছে, তা স্পর্শ করা যাবে না। ওই মেধাতালিকায় যাঁরা চাকরি পাবেন, তাঁদের সঙ্গে আলাদা এই মেধাতালিকার তুলনা করতে হবে। যদি দেখা যায়, এই প্রার্থীরা প্যানেলের অন্তর্ভুক্ত প্রার্থীদের থেকে বেশি নম্বর পেয়েছেন, তা হলে এঁদের জন্য আলাদা প্যানেল করতে হবে। এই সমস্ত প্রার্থীদের বিএড এবং ডিএলএড দুই ডিগ্রিই আছে। ৯ হাজার ৫৩৩ জনের প্যানেলের সঙ্গে এই প্রার্থীদের তুলনা করতে হবে বলে জানিয়েছিলেন বিচারপতি মান্থা।

বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশের বিরুদ্ধে পর্ষদ ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছে। পর্ষদ মনে করছে WEST BENGAL BOARD OF PRIMARY EDUCATION ACT,1973 অনুযায়ী সিঙ্গেল বেঞ্চ এই ধরনের রায় দিতে পারেন না। এই প্রার্থীদের একবার ডিগ্রি আপডেটের সুযোগ দিয়েছিল পর্ষদ। খুব শীঘ্রই এই মামলার শুনানি হবে বলে জানা গেছে। 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এমন অনেক প্রার্থী রয়েছেন যাদের বিজ্ঞপ্তি জারির দিনের আগে বিএড ও ডিএলএড দুই যোগ্যতাই ছিল। কিন্তু কেউ নম্বর বেশি থাকায়, কেউ আবার বিএড উচ্চতর যোগ্যতামান হওয়ায় ফর্ম পূরণের সময় ডিএলএড যোগ্যতার কথা উল্লেখ করেননি। এই রকম চাকরিপ্রার্থীরা বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে মামলা করে জানিয়েছিল, বিজ্ঞপ্তি জারির সময় বিষয়টি জানা থাকলে তাঁদের নামও প্যানেলে থাকত। সিঙ্গেল বেঞ্চ চাকরি প্রার্থীদের আবেদনে সাড়া দিয়েছিল।

close