জেনারেল ট্রান্সফার: শিক্ষিকার বদলির আবেদনে মিলল স্বস্থি। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকলে বদলিতে বাধা দিতে পারে না স্কুল শিক্ষাদপ্তর, এমনই পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাই কোর্টের। শিক্ষিকার বদলির অনুমতি দিল হাই কোর্ট।
হুগলির উত্তর পাড়ার এক শিক্ষিকাকে তাঁর বাড়ির কাছাকাছি স্কুলে বদলির নির্দেশ দিল আদলত। বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণে কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা যদি দীর্ঘদিন ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকেন এবং তাঁর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রিপোর্টে যথোপযুক্ত-কারণ সহ নথি থাকে তাহলে বদলিতে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না শিক্ষাদপ্তর।
এই বিষয়ে মামলাকারীর আইনজীবী সুদীপ ঘোষ চৌধুরী জানান, ১০ বছর ধরে হুগলির কামার পাড়া হাই স্কুলে কর্মরত শিক্ষিকা বৈশাখী মুখোপাধ্যায় স্ত্রীরোগ সংক্রান্ত বিষয়ে দীর্ঘদিন ভুগছেন বলে স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে বদলির আবেদন জানান। কিন্তু কমিশন সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন শিক্ষিকা। এদিকে উৎসশ্রী পোর্টাল বন্ধ থাকার যুক্তি দেখিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চ ওই শিক্ষিকার আবেদন খারিজ করে দেয়। পরে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেন শিক্ষিকা। ডিভিশন বেঞ্চ বদলির নির্দেশ দিয়েছে।
আদালতে স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী বলেন, “ওই শিক্ষিকা হুগলির উত্তর পাড়া গার্লস হাই স্কুলে বদলির আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্তও ওই স্কুলে কোনও শূন্যস্থান নেই। তাই শিক্ষিকার আবেদন মুঞ্জুর করা হয়নি।”
ওই স্কুল না হলেও তার পার্শ্ববর্তী কোনও স্কুলে ওই শিক্ষিকাকে বদলির আবেদন জানান শিক্ষিকার আইনজীবী সুদীপ ঘোষ চৌধুরী। তাঁর দাবি, “দীর্ঘদিন অসুস্থ অস্থায় ৬০ কিলোমিটার করে ১২০ কিলোমিটার যাতায়াত করতে হচ্ছে শিক্ষিকাকে।” এর প্রেক্ষিতে এসএসসি কে ৬ সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়ে ওই শিক্ষককে বদলির নির্দেশ দিয়েছে আদালত।