অল্পপ্রাণ ও মহাপ্রাণ বর্ণ: আজ আমরা অল্পপ্রাণ ও মহাপ্রাণ বর্ণ (alpapran mahapran letter) সম্পর্কে জানবো। উচ্চারণের সময় ফুসফুস থেকে বের হওয়া বাতাসের পরিমাণের উপর নির্ভর করে বর্ণকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। একটি হল অল্পপ্রাণ বর্ণ এবং অন্যটি মহাপ্রাণ বর্ণ।
ঊচ্চারণ অনুসারে ব্যঞ্জনবর্ণকে দুটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে। যথা -
১। মহাপ্রাণ-অল্পপ্রাণ,
২। ঘোষ-অঘোষ।
এখানে আমরা মহাপ্রাণ ও অল্পপ্রাণ বর্ণ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবো।
১. অল্পপ্রাণ বর্ণ
যে বর্ণসমুহের উচ্চারণ কম দীর্ঘ হয় অর্থাৎ ফুসফুস তাড়িত বাতাস কম প্রবাহিত হয় সেগুলো অল্পপ্রাণ বর্ণ।
প্রত্যেক বর্গের প্রথম ও তৃতীয় বর্ণ অল্পপ্রাণ বর্ণ।
যথাঃ ক-গ-চ-জ-ট-ড-ত-দ-প-ব।
২. মহাপ্রাণ বর্ণ
যে বর্ণসমুহের উচ্চারণ দীর্ঘ হয় অর্থাৎ ফুসফুস তাড়িত বাতাস অধিক প্রবাহিত হয় সেগুলো মহাপ্রাণ বর্ণ।
প্রত্যেক বর্গের দ্বিতীয় ও চতুর্থ বর্ণ মহাপ্রাণ বর্ণ।
যথাঃ খ-ঘ-ছ-ঝ-ঠ-ঢ-থ-ধ-ফ-ভ।
আসলে বাংলা ব্যাকরণে বর্গের প্রথম ও তৃতীয় বর্ণকে অল্প প্রাণ বর্ণ বলে এবং বর্গের দ্বিতীয় ও চতুর্থ বর্ণকে মহাপ্রাণ বর্ণ বলে। যথা—ক গ চ জ ট ড ত দ প ৰ এই দশটি অল্প প্রাণ বর্ণ, খ খ ছ ঝ ঠ ঢ থ ধ প ভ এই দশটি মহাপ্রাণ বর্ণ।