নিউজ ডেস্ক: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ বহাল রাখল দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে চিন্তা বাড়ল প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদ সভাপতি গৌতম পালের। সিবিআই প্রয়োজনে হেফাজতে নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। TET OMR কাণ্ডে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালকে (Goutam Pal) জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ওএমআর শিট (OMR Sheet Case) সংক্রান্ত মামলায় সম্প্রতি গৌতম পাল এবং ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই।
সোমবার বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চ তাঁকে রক্ষাকবচ দেয়নি। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, প্রয়োজনে সিবিআই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পারে। সহযোগিতা করলে হেফাজতে নেওয়ার প্রশ্নও নেই। তবে, শুক্রবার সিবিআইয়ের মতামত শুনে প্রয়োজনে গৌতমবাবুকে রক্ষাকবচ দেওয়া হতে পারে বলে মত সুপ্রিম কোর্টের।
২০১৪ থেকে ২০১৬ প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে গৌতম পালকে জেরা করেছে সিবিআই। যদিও গৌতমবাবুর যুক্তি ছিল, এই অভিযোগ যে সময়ের, তা হয়েছে পূর্বতন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের আমলে। মানিক ভট্টাচার্য এই মুহূর্তে জেলে রয়েছেন। তিনি ওই ওএমআর শিট বা অন্যান্য নথি সম্পর্কে কিছু জানেন না। তবে, হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, প্রয়োজনে গৌতমবাবুকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে সিবিআই। এই নির্দেশের বিরুদ্ধেই রক্ষাকবচ চেয়েছিলেন গৌতমবাবু। রক্ষাকবচ না দিলেও সিবিআই শুক্রবারের আগে তাঁকে হেফাজতে নেবে না বলেই মত আইনজ্ঞদের। কারণ, তাদের কাছে সুপ্রিম কোর্ট নোটিস ইস্যু করেছে মতামত জানানোর জন্য। তার আগে চরম পথে হাঁটবে না তারা।
সুপ্রিম কোর্টে গৌতম পালের আইনজীবী জানান, তারা তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করছেন। পাশাপাশি ওএমআর শিট বিকৃত হয়েছিল অনেক আগে ২০১৭ সালে। ওই সময়ের নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে কেন বর্তমান পর্ষদ সভাপতিকে ডাকা হচ্ছে তা নিয়েও তোলা হয় প্রশ্ন। তবে এত কিছুর পরও রক্ষাকবচ পেলেন না গৌতম পাল। এই মামলায় সিবিআইয়ের বক্তব্য জানতে চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী শুক্রবার।
