নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা (ডিয়ারনেস অ্যালোওয়েন্স বা ডিএ) দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করছেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। এরই মধ্যে আজ বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক হচ্ছে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের সঙ্গে। তবে কি আজই DA বৃদ্ধির ঘোষণা হবে? ক্ষোভের মধ্যে সরকারি কর্মচারীদের নজর থাকবে বৈঠকের দিকেই।
জানা গেছে, আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকে ডাক পেয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস প্রভাবিত রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন-সহ কয়েকটি সংগঠন। তবে ডিএয়ের দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া সংগ্রামী যৌথ মঞ্চকে সেই বৈঠকে ডাকা হয়নি বলে দাবি করেছেন ওই সংগঠনের নেতারা।
মঙ্গলবার বৈঠক সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'সবার সঙ্গে নয়। কয়েকজন কথা বলতে চেয়েছিলেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলব।'
আজ দুপুর তিনটে নাগাদ নবান্ন সভাঘরে সেই বৈঠক হতে পারে। সেখানে সচিব পর্যায়ের আমলাদের থাকতে বলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। মুখ্যসচিব, অর্থসচিবরাও বৈঠক থাকবেন বলে সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা। তবে বিষয়টি নিয়ে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি।
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, 'মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী বললেন যে কয়েকটি সংগঠন আবেদন করেছে, তাই উনি কয়েকটি কর্মচারী সংগঠনের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন। গত ২৭ মার্চ আর্জি জানিয়েছিল সংগ্ৰামী যৌথ মঞ্চও। সেই দিনের আগে এবং পরেও আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু বৈঠকে ডাকা হয়নি সংগ্ৰামী যৌথ মঞ্চকে। আসলে সত্যের মুখোমুখি হওয়ার সাহস সকলের থাকে না। তবুও আশা করব যে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থের ঊর্ধ্বে (উঠে) কর্মচারীদের ও শিক্ষিত বেকার ছেলেমেয়েদের মৌলিক দাবিকে মান্যতা দেবেন (মুখ্যমন্ত্রী) ও বৈঠক সফল হবে।'
শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক তথা সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অন্যতম নেতা কিংকর অধিকারী দাবি করেন, ১২৫ দিন ধরে রাস্তায় নেমে তাঁরা যে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন, সেটার চাপের বাধ্য হয়ে বৈঠকের পথে হেঁটেছে রাজ্য সরকার। তবে তৃণমূল-প্রভাবিত ফেডারেশনকে বৈঠকে ডাকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যাঁরা কিছু না পেলেই খুশি, আর এক টুকরো পেলেই আবির খেলে তাঁদের নিয়ে বৈঠক? এটা যে আন্দোলনেরই চাপ তা বুঝতে অসুবিধা হয় কি?’
এই বৈঠক ইতিবাচক হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর মুখোমুখি বসে নিজেদের সমস্যা তুলে ধরলে সমস্যা মিটবে বলে আশাবাদী আন্দোলনকারীদের একাংশ। এই মুহুর্তে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ৪২ শতাংশ ডিএ পাচ্ছেন, অন্যদিকে রাজ্যের কর্মীরা মাত্র ৬ শতাংশ ডিএ পাচ্ছেন।