Kode Iklan atau kode lainnya

‘দুটি মামলা ছাড়া বাকি সব…’, আদালতের নজিরবিহীন তোপের মুখে CBI, বেঁধে দেওয়া হল ডেড লাইন

নম্বরে জালিয়াতি করে স্কুলে ৮,১৬৩ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক: ফের আদালতের ভৎসনার মুখে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। ‘‌আর কতদিন অভিযুক্তদের আটকে রাখবেন?’‌, সিবিআইকে ভর্ৎসনা আলিপুর আদালতের। CBI কে আবার ভৎসনা করলেন আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক। তদন্তের অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়। সিবিআই কে ২১ দিনের মধ্যে তদন্তে অগ্রগতি আনতে হবে বলে ডেড লাইন বেধে দিল আলিপুর আদালত।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একাধিক অভিযোগ তুলেছে সিবিআই। যদিও সেসব মামলার তদন্ত নিয়ে বিরক্ত বিচারক আজ, শনিবার সিবিআই অফিসারকে ভর্ৎসনা করে বলেন, ‘‌আমি আজ কিছু বলব না, যা বলার আমার কলম বলবে। দুটি মামলা ছাড়া নিয়োগ দুর্নীতির অন্যান্য তদন্ত অত্যন্ত হতাশাজনক। তদন্ত ঠিকমতো চলছে না। এটা কি সিভিল কেস চলছে?‌ প্রসেসের অজুহাত দিয়ে আর কতদিন অভিযুক্তদের আটকে রাখবেন? ইতিবাচক পদক্ষেপ করুন।’‌ 

বিচারক সিবিআইকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘‌নীলাদ্রি–কুন্তল–তাপস কাকে টাকা দিলেন, সেটা তো এখনও সামনেই আনতে পারলেন না। তাপস–নীলাদ্রি–কুন্তল কি সরকারি অফিসার?‌ সরকারি অফিসার ছাড়া তো এই দুর্নীতি সম্ভবই না। বৃত্ত সম্পূর্ণ করুন। আগামী ২১ দিনের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতি দেখান।’‌

সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, ‘‌আবেদন আছে। সরকারি আধিকারিকদের নাম আছে।’‌ পাল্টা বিচারক বলেন, ‘‌কাদের নাম আছে জানি না। ডেভেলপমেন্ট কী আছে? বিশ্বাসযোগ্যতা রেখে তদন্তে অগ্রগতি করা দরকার। নীলাদ্রি ঘোষের পর থেকে কি ডেভেলপমেন্ট হয়েছে? শুধু আবেদন আর আবেদন! আমি কি আপনাদের প্রোটেক্ট করার জন্য আছি?’‌‌ সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, ‘‌চারটে কেস দেখা যাচ্ছে যেখানে টাকা নেওয়া হয়েছে।’‌ বিচারক রেগে গিয়ে বলেন, ‘‌একটা পরিবারে চারজন খুন হলে, সেই তদন্তে অন্য কিছু দেখেন না? বাকি যাঁদের নাম আছে, তাঁদের ধরা হচ্ছে না কেন?’‌

close