নিউজ ডেস্ক: একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে বিচারাধীন বিষয়ে কথা বলার দরুন মামলা থেকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে সরিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পরও ধোঁয়াশা অব্যাহত। কোন কোন মামলাগুলো শুনবেন বিচারপতি, তা নিয়েই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি যতক্ষণ না বিজ্ঞপ্তি জারি করছেন, ততক্ষণ এই জটিলতা কাটবে না বলেই মনে করছে আইনজীবী মহল। সূত্রের খবর, কাল সোমবার বিচারপতি বদল সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের কপি অনুযায়ী, প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত দু’টি মামলা আর শুনতে পারবেন না বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সৌমেন নন্দী ও রমেশ মালিকের মামলা দুটি শুনতে পারবেন না বিচারপতি। এই দু’টি মামলা ছাড়াও বর্তমানে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলা বিচারাধীন রয়েছে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। যার মধ্যে অন্যতম, ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট সংক্রান্ত মামলা। যেখানে গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া (৪৪ হাজার শিক্ষক) নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলা করেছেন প্রিয়াঙ্কা নস্কর। এছাড়াও প্রাথমিকের ওএমআর শিট নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলা করেছেন রাহুল চক্রবর্তী ও শান্তনু শীট। ইতিমধ্যেই ওই মামলায় তদন্ত করছে সিবিআই। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টেও বিচারাধীন।
কেবল প্রাথমিকের নয় এসএসসি, গ্রুপ-ডি ও গ্রুপ-সিতে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই দু’টি মামলাও বিচারাধীন রয়েছে তাঁর এজলাসে। গ্রুপ সি-র ওই মামলায় ইতিমধ্যেই ৮৪২ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি গ্রুপ-ডি ক্ষেত্রে লক্ষ্মী টুঙ্গার দায়ের করা মামলায় ১৯১১ জনের চাকরি বাতিলের যে নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় দিয়েছিলেন, তাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এছাড়াও আব্দুল গনি আনসারির দায়ের করা নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতির মামলাও বিচারাধীন রয়েছে। এখন মামলাগুলি শেষ পর্যন্ত কোন এজলাসে যাবে, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সবাই।