নিউজ ডেস্ক: একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেওয়া নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরেছে দু'টি শিক্ষা দুর্নীতি মামলা। নিয়োগ-মামলার বেঞ্চ বদলে কী প্রভাব পড়বে? মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত। তাঁর মতে, সব বিচারপতিই সমান। ফলে মামলায় প্রভাব পড়ার কোনও প্রশ্ন থাকছে না।
অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত বলেন, ‘আদালতের কর্মপদ্ধতির দুটো ভাগ রয়েছে। বিচারবিভাগ ও প্রশাসনিক দিক। বিচারবিভাগীয় ক্ষেত্রে যদি কোনও আবেদন সুপ্রিম কোর্টে যায়, তাতে হাইকোর্টের নির্দেশকেও পাল্টে দিতে পারে শীর্ষ আদালত। এ ক্ষেত্রে সাক্ষাৎকারের বিষয়টিতেই সুপ্রিম কোর্ট গুরুত্ব দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এক্ষেত্রে হাইকোর্টের নির্দেশে কোনও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়নি। তবে বিচারাধীন মামলা নিয়ে যদি বিচারপতি বাইরে কোনও পর্যবেক্ষণ দেন, তাতে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা থাকে। এ ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট হয়ত এমন কোনও প্রসঙ্গই পেয়েছেন, যার জন্য মামলা সরানো হয়েছে। এতে রাজনীতির প্রভাব।’
অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত বলেন, ‘আইনের মূল কথাই হল ধর্ম বা বিচার। প্রত্যেক বিচারপতি সেটা মাথায় রেখেই বিচার করেন। কোন বিচারপতি মামলা শুনলেন, এটা নিয়ে কোনও ভাবনা চিন্তার জায়গা নেই। সব বিচারপতিই সমান। বিচারের পদ্ধতি আলাদা। তাই চাকরিপ্রার্থীরা আশ্বস্ত হতে পারেন। বিচারকদের কাজই ন্যয়বিচার দেওয়া। এটা দুর্নীতির বিপরীত শব্দ। প্রত্যেক বিচারপতিই সেটা মাথায় রেখে ন্যয়বিচার করে থাকেন।’