Kode Iklan atau kode lainnya

গর্জালেও বর্ষালো না, ১০ই মার্চ ধর্মঘটে অংশগ্রহণকারীকে শুধুমাত্র একদিনের বেতন কাটার নির্দেশিকা!

 

নিউজ ডেস্ক: ন্যায্য মহার্ঘ ভাতার (ডিএ) দাবি এবং সমস্ত শূন্যপদে নিয়োগের দাবিতে শুক্রবার, ১০ই মার্চ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল ‘সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ’। ৩৯ শতাংশ ডিএ এবং স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে এই ধর্মঘট করা হয়। রাজ্য সরকারি হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে ধর্মঘটে ব্যাপক সাড়া মেলে। রাজ্যের সরকারি কর্মীদের  উপস্থিতি নিয়ে নবান্নের কড়া হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে চলে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ধর্মঘট। রাজ্যের বেশিরভাগ স্কুলেই পুরোপুরি কর্মবিরতি চলে। কলকাতার সরকারি অফিসগুলোতে কাজ মোটামুটি চললেও অন্যান্য জায়গায় ধর্মঘটে ব্যাপক সাড়া পড়ে। 

সারা রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতে গত ১০ মার্চ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ডাকা ধর্মঘটে সমর্থনে বহু শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী বিদ্যালয়ে যাননি। তবে আজ স্কুলে গেলে অনেকের উপর আক্রমণের ঘটনা সামনে এসেছে বলে জানান শিক্ষকরা। এই ধর্মঘটের বিরুদ্ধে বিজ্ঞপ্তিও জারি করে নবান্ন। সেখানে ধর্মঘটকারীদের বিরুদ্ধে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল। এরই মধ্যে একটি অর্ডার সামনে এল যেখানে ১০ই মার্চ ধর্মঘটের দিন অফিসে গরহাজির থাকার জন্য  শুধুমাত্র একদিনের বেতন কাটার নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। 

এই নিয়ে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতৃত্ব এবং শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, “ধর্মঘটে অংশগ্রহণকারী শিক্ষক-শিক্ষা কর্মী, সরকারি কর্মচারীদের একদিনের বেতন কেটে নেওয়া, সার্ভিস ব্রেক, ডাইস নন ইত্যাদির হুমকি দেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত শুধুমাত্র একদিনের বেতন কাটার নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। আমরা আগেই বলেছিলাম, সরকার ভয় দেখানোর জন্য নোটিশ দিয়েছিল। এতে শিক্ষক-শিক্ষা কর্মী সরকারি কর্মচারীগণ বিন্দুমাত্র ভীত নয় বরং আগামীতে প্রাপ্ত বকেয়া ডিএ, শূণ্য পদে স্বচ্ছ ভাবে স্থায়ী নিয়োগ এবং যোগ্য অস্থায়ী কর্মীদের বেতন কাঠামো সহ স্থায়ীকরণের দাবিতে আন্দোলন আরো দুর্বার হবে। লক্ষ লক্ষ কর্মচারীর একদিনের বেতন কেটে নিয়ে এই আন্দোলনকে কোন ভাবেই দমানো যাবে না।”

close