Kode Iklan atau kode lainnya

বাবার নাম SSC-র তালিকায়, পাল্টা মামলার প্রস্তুতি, মুখ খুললেন চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার

নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বেআইনিভাবে নিয়োগ পাওয়া ৯৫২ শিক্ষক-শিক্ষিকার বাবার নাম ও বিদ্যালয়ের নাম সহ তালিকা প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এর আগে আদালতের নির্দেশ মতো ৯৫২ জনের OMR প্রকাশ্যে এনেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। পরে ৯৫২ জনের বাবার নাম ও কর্মরত স্কুলের নাম প্রকাশের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই মতো ৯৫২ জনের বাবার নাম ও বিদ্যালয়ের নাম প্রকাশ করলো কমিশন।

২০১৬ সালের নবম দশম নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতিতে ৯৫২ জনের OMR প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। OMR শিট প্রকাশ হলেও সেখানে উল্লেখ নেই বাবার নাম ও স্কুলের। সেই স্কুলের নাম ও বাবার নাম প্রকাশের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১৬-এ ১৩৭০০ পদে শিক্ষক নিয়োগ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন ওঠে। জল গড়ায় আদালতে। আদালতের নির্দেশ মতোই ওএমআর প্রকাশ করে কমিশন। এর আগে ১৮৩ জনের ওএমআর প্রকাশ করে কমিশন। তারপর ৪০ জনের ওএমআর প্রকাশ করে। তারপর ৯৫২ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে।

ইতিহাসের প্রশ্নে ভুল মামলায় আগেই ২৭ জন চাকরিপ্রার্থীর এক নম্বর করে বেড়েছিল। সেই সুবাদে কেউ কেউ চাকরিও পেয়েছিলেন। কারও আবার নম্বর বেড়ে ওয়েটিং লিস্টেও অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন। এখন নিয়োগ-দুর্নীতির ডামাডোলে তাঁদের নামও উঠে এসেছে সন্দেহের তালিকায়। ফের আদালতের নির্দেশে এসএসসি ওই ৯৫২ জনের পিতৃপরিচয় ও স্কুলের নাম প্রকাশ করে দেওয়ায় কর্মরত বহু শিক্ষক এবং কর্মপ্রার্থীর বিড়ম্বনা আরও বেড়েছে। তাঁদের অনেকে বিহিতের আশায় পাল্টা মামলা করতে চলেছেন। প্রথম দফায় ওয়েবসাইটে এসএসসি এই তালিকা প্রকাশের পরেই অন্যায় ভাবে তাঁদের হয়রানি করা হচ্ছে বলে বহু কর্মরত শিক্ষক- শিক্ষিকা অভিযোগ তুলেছিলেন। বহু তথ্য ও আদালতেরই আগের নির্দেশ গোপন করে ভুল তালিকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এই বিষয়ে এক শিক্ষকের কথায়, 'বাবার ও স্কুলের নাম দিয়ে দেওয়ায় আমাদের হেনস্থা আরও বাড়ল। এতদিন আমার অসম্মান হচ্ছিল। এ বার বাবা, স্কুলও বাদ গেল না। তাই আদালতের শরণাপন্ন হচ্ছি। সব জানা সত্ত্বেও এসএসসি বার বার একই কাণ্ড ঘটাচ্ছে। এসএসসি অবশ্য নিজেদের অসহায়তাই জানাচ্ছে। কমিশনের চেয়ারপার্সন সিদ্ধার্থ মজুমদারের কথায়, 'এক-এক দিন আদালত যে নির্দেশ দিচ্ছে, অল্প সময়ের মধ্যে তা পালন করতে হচ্ছে। এই ছুটির মধ্যেও আমরা তা পালন করছি। কর্মরতরা আদালতে মামলা করলে অবশ্যই আমাদের বক্তব্য জানাব।'

close