Kode Iklan atau kode lainnya

‘আবেদনে ভুলভ্রান্তি আছে, নিজে থেকে কোনও পদক্ষেপ নেব না’, ববিতা কাণ্ডে বড় মন্তব্য SSC-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের

এসএসসি ববিতা সরকার

নিউজ ডেস্ক: ন্যায্য চাকরি পেতে আপোষহীন লড়াই করেছিলেন ববিতা সরকার। তারপর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেওয়ায় চাকরি পান ববিতা। যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে শিক্ষিকার চাকরি পেয়েছিলেন।  এবার ববিতা সরকারের র‍্যাংক নিয়েও প্রশ্ন উঠল।

সম্প্রতি চাকরিপ্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর প্রকাশ করেছে এসএসসি। তাঁতে দেখা যাচ্ছে ববিতার অ্যাকাডেমিক স্কোর হওয়ার কথা ৩১।  যদিও পর্ষদের ভুলে তিনি পেয়ে গিয়েছেন ৩৩। 

SSC-র প্রকাশিত মেধাতালিকা অনুযায়ী, ববিতা মোট পেয়েছেন ৭৭ নম্বর। লিখিত পরীক্ষায় তিনি পেয়েছেন ৩৬। তাঁর অ্যাকাডেমিক স্কোর ৩৩ এবং মৌখিকে তিনি পেয়েছেন ৮। অ্যাকাডেমিক স্কোরের প্রাপ্ত ৩৩ নম্বর নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। 

এই বিষয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, এই অভিযোগের কথা শুনেছি। অনেক ক্ষেত্রেই আবেদনে ভুলভ্রান্তি ধরা পড়েছে। তবে, এই ঘটনাটি নিয়ে আমরা নিজে থেকে কোনও পদক্ষেপ নেব না। আদালত বললে বা লিখিত অভিযোগ হলেই আমরা তাঁর তথ্যাদি ফের মিলিয়ে দেখব। 

অন্যদিকে,  আইনজীবী ফিরদৌস শামিম অবশ্য দাবি করেছেন, ‘ভুল তথ্য আদালতকে দেওয়া হয়ে থাকলে তার দায় এসএসসির। আমার মক্কেলের নয়। এনসিটিই-র গাইডলাইন অনুযায়ী, পাস ও অনার্সের নম্বর যোগ করে যুক্ত হবে। ববিতার সমস্ত ডুকমেন্ট অন্তত তিনবার পরীক্ষা করেছে এসএসসি। আদালতে তারাই ববিতার নম্বর জানিয়েছে।’

মেখলিগঞ্জের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর নিয়োগে দুর্নীতি সামনে এনেছিলেন ববিতা সরকার। শুধু তাই নয়, ববিতার জনাই এসএসসি'র শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে প্রাথমিক, এমনকি চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি সামনে এসেছে। অধিতার কর্মস্থল ইন্দিরা গার্লস হাইস্কুলেই তাঁর জায়গায় চাকরি পেয়েছেন ববিতা। কিন্তু নতুন করে বিতর্ক দেখা দিয়েছে ববিতার চাকরি নিয়ে।

ববিতার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক ও বিএতে তিনি ৬০ শতাংশের বেশি পেয়েছেন। সেক্ষেত্রে অ্যাকাডেমিক স্কোরে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে ৬ নম্বরের মধ্যে ৬ করেই পেয়েছেন এবং বিএডে ৫ নম্বরের মধ্যে ৫ নম্বরই পেয়েছেন। অন্যদিকে, বিএ ও এমএ-তে তিনি দ্বিতীয় শ্রেণিতে পাশ করেছে। সেক্ষেত্রে বিএ-তে ৮-এর মধ্যে ৬ এবং এমএ-তে ১০- এর মধ্যে তাঁর পাওয়ার কথা। সেই হিসাবে তাঁর প্রাপ্ত মোট নম্বর হবে ৩১। কিন্তু পেয়েছেন ৩৩।  ফলে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। 

ববিতা বিএ-তে ৬০ শতাংশের কম নম্বর পেলেও তাঁকে ৬০ শতাংশের বেশি দেখানো হয়েছে। যদিও ববিতা সরকার বিএ'র নম্বরের জায়গায় ঠিকই লিখেছেন। 880 (৫৫ শতাংশ)। প্রশ্ন উঠছে, এসএসসি কর্তৃপক্ষই ভালো করে ভেরিফিকেশন না করে কেন তাঁকে ৩৩ দিয়েছে অ্যাকাডেমিক স্কোরে।

বুধবার ববিতা এই বিষয়ে বলেন, 'আমি কত নম্বর পেয়েছি সেটা জানতাম না। আগে নম্বর দেওয়া ছিল না। শুধু র‍্যাংক দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে যখন মামলা চলে তখন পর্ষদ থেকে হাইকোর্টে জানায়, আমি ৭৭ নম্বর পেয়েছি। আমি আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছি। হাইকোর্ট খুললে বিচারপতির নজরে আনা হবে।  বিচারপতি যা নির্দেশ দেবেন মেনে নেব। 

close