Kode Iklan atau kode lainnya

৫৫ শতাংশ পেয়েও SSC-তে নম্বর ৬০ শতাংশের বেশি, নতুন জটে ববিতা সরকার, সামনে এল বড় তথ্য

 অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি পান ববিতা

নিউজ ডেস্ক: ন্যায্য চাকরি পেতে আপোষহীন লড়াই করেছিলেন ববিতা সরকার। তারপর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেওয়ায় অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি পান ববিতা। যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে শিক্ষিকার চাকরি পেয়েছিলেন।  এবার ববিতা সরকারের র‍্যাংক নিয়েও প্রশ্ন উঠল।

সম্প্রতি চাকরিপ্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর প্রকাশ করেছে এসএসসি। তাঁতে দেখা যাচ্ছে ববিতার অ্যাকাডেমিক স্কোর হওয়ার কথা ৩১।  যদিও পর্ষদের ভুলে তিনি পেয়ে গিয়েছেন ৩৩।  SSC-র প্রকাশিত মেধাতালিকা অনুযায়ী, ববিতা মোট পেয়েছেন ৭৭ নম্বর। লিখিত পরীক্ষায় তিনি পেয়েছেন ৩৬। তাঁর অ্যাকাডেমিক স্কোর ৩৩ এবং মৌখিকে তিনি পেয়েছেন ৮। অ্যাকাডেমিক স্কোরের প্রাপ্ত ৩৩ নম্বর নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। 

ববিতার পরই র‍্যাংকে ২১ নম্বরে নাম রয়েছে শিলিগুড়ির অনামিকার রায়ের। এবার চাকরির দাবিতে লড়তে নামবেন তিনি। ববিতা আইনি লড়াই করে চাকরি পেয়েছেন। তাঁর দেখানো পথেই হাঁটতে চান অনামিকা। তাঁর দাবি, ‘চাকরি নিয়ে লড়াই করেছেন ববিতা। ববিতা বা কমিশনের, যারই যাঁরই ভুল হোক, ২ নম্বর বেশি পেয়েছেন ববিতা। কিন্তু ভুল তো ভুলই। ওঁর ২ নম্বর কমলে আমি পরবর্তী ওয়েটিং লিস্টে এগিয়ে যাব। তাই আমাকেই চাকরি দেওয়া উচিত।'

অনামিকার অভিযোগ, অ্যাকাডেমিক স্কোরে ভুল তথ্যের জন্যই ববিতা সরকার চাকরি পেয়েছেন। জানা গিয়েছে, ববিতার আবেদনপত্রে লেখা ছিল, তিনি স্নাতক স্তরে ৮০০ এর মধ্যে ৪৪০  পেয়েছেন। অর্থাৎ হিসেব মতো তা প্রায় ৫৫  শতাংশ। এদিকে, সেখানে লেখা তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৬০ শতাংশের বেশি। সেই হিসেবেই তাঁকে অ্যাকাডেমিক স্কোর দেওয়া হয়। যদি ৬০ শতাংশের কম নম্বর ধরা হয়, তাহলে অ্যাকাডেমিক স্কোর ২ কমে যাবে ববিতার। তেমন হলে স্বাভাবিকভাবেই, ববিতা মেধাতালিকায় অনেকটা পিছিয়ে যাবেন। সম্প্রতি, ববিতার সেই আবেদনপত্রের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। কমিশন সূত্রে বলছে, সব চাকরিপ্রার্থীরই আবেদনের ‘স্ক্রুটিনি’ হয়ে থাকে। যেহেতু ববিতার চাকরি কোর্টের নির্দেশে হয়েছে, তাই আলাদা করে পরে আর তাঁর আবেদনপত্র খতিয়ে দেখা হয়নি।

ববিতা বলছেন, "প্রথম দিকে আমরা আমাদের প্রাপ্ত নম্বরই জানতাম না । কমিশন দু’নম্বর বেশি দিয়েছে ভুল করে । তারা কীভাবে সংশোধন করবে, তা তারা জানে। আদালত যা রায় দেবে, তা আমি মেনে নেব।"


কিভাবে লড়বেন? জবাবে অনামিকা জানিয়েছেন ‘যেহেতু আইনের পথে চাকরি পেয়েছেন ববিতা তাই আমিও আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছি। এক আইনজীবীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি ছুটিতে আছেন। কলকাতায় ফিরলেই তাঁর পরামর্শ নেব এবং প্রয়োজন হলে ববিতার বিরুদ্ধে মামলা করব।'

অন্যদিকে, ববিতা জানিয়েছেন, বিচার ব্যবস্থার প্রতি তাঁর আস্থা আছে। আদালত যা রায় দেবে তিনি মেনে নেবেন। 

তাঁর বক্তব্য, 'আমি জানি না কেউ মামলা করবে কি না। তবে নিজে দেখে হাইকোর্টের নজরে বিষয়টি নিয়ে আসব। কারণ আমি বিএ-তে সঠিক নম্বর (৫৫%) দিলেও পর্ষদ আমাকে অ্যাকাডেমিক স্কোরে ২ নম্বর বেশি দিয়েছে। আমি জানার পরই আমার আইনজীবীকে জানিয়েছি। হাইকোর্ট খুললেই আদালতে তুলে ধরা হবে।

এই বিষয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, এই অভিযোগের কথা শুনেছি। অনেক ক্ষেত্রেই আবেদনে ভুলভ্রান্তি ধরা পড়েছে। তবে, এই ঘটনাটি নিয়ে আমরা নিজে থেকে কোনও পদক্ষেপ নেব না। আদালত বললে বা লিখিত অভিযোগ হলেই আমরা তাঁর তথ্যাদি ফের মিলিয়ে দেখব। 

অন্যদিকে,  আইনজীবী ফিরদৌস শামিম অবশ্য দাবি করেছেন, ‘ভুল তথ্য আদালতকে দেওয়া হয়ে থাকলে তার দায় এসএসসির। আমার মক্কেলের নয়। এনসিটিই-র গাইডলাইন অনুযায়ী, পাস ও অনার্সের নম্বর যোগ করে যুক্ত হবে। ববিতার সমস্ত ডুকমেন্ট অন্তত তিনবার পরীক্ষা করেছে এসএসসি। আদালতে তারাই ববিতার নম্বর জানিয়েছে।’

close