Kode Iklan atau kode lainnya

চরম নিয়োগ দুর্নীতি, হিমশৈলের চূড়ামাত্র, ভয়ঙ্কর! SSC নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে বিস্ফোরক কলকাতা হাইকোর্ট

নিউজ ডেস্ক: এতো হিমশৈলের চূড়ামাত্র! সিবিআই রিপোর্ট দেখে ফের স্তম্ভিত কলকাতা হাইকোর্ট। নিয়োগ দুর্নীতিতে বিস্ফোরক মন্তব্য বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। রাজ্যের স্কুলগুলিতে শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মী নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর এবার সিবিআইয়ের রিপোর্ট দেখে ‘স্তম্ভিত’ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। 

২০১৬ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ ডি স্তরে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সঞ্জীব মাইতি। বৃহস্পতিবার বিচারপতি বসুর এজলাসে সেই মামলার শুনানি ছিল। শুনানি চলাকালীন এমনই সব বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিচারপতি।

বিচারপতি বসু বলে ওঠেন, ‘এতো ভয়ঙ্কর পরিসংখ্যান!’ পাশাপাশি তাঁর মন্তব্য, ‘এ তো হিমশৈলের চূড়ামাত্র। গোটা হিমশৈল এখনও জলের নীচে রয়েছে। একের পর এক যেসব তথ্য উঠে আসছে, তা ভয়ঙ্কর!’ এছাড়াও যাঁরা বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ, তাঁদের উদ্দেশে বিচারপতি বসুর আরও বলেন, ‘এই শিক্ষকরা সমাজ গড়বেন? ভবিষ্যতে ছাত্ররা তাঁদের দিকে আঙুল তুলবে, জিজ্ঞাসা করবে এঁরা কেমন শিক্ষক? আমি জানি না, এর শেষ কোথায়! আগে আবর্জনা পরিষ্কার করা উচিত। গোটা প্যানেল খারিজ করা উচিত। সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অবৈধভাবে নিযুক্ত ব্যক্তিরা যাতে অংশগ্রহণ করতে না পারেন সেই ব্যবস্থা করা উচিত।’ এরপরই তাৎপর্যপূর্ণভাবে বিচারপতিকে বলতে শোনা যায়, ‘দুর্নীতিবাজদের ফল ভুগতে হবে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন, আমিও তাতে শামিল হচ্ছি।’ 

এই মামলায় সিবিআইকে পক্ষ করারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ১৮ নভেম্বর পরবর্তী শুনানি। বুধবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট দিয়ে সিবিআই জানায়, দিল্লি ও গাজিয়াবাদে হানা দিয়ে ওএমআর শিট সম্বলিত হার্ডডিস্ক উদ্ধার করা হয়েছে। পুরো সাদা খাতা বা গুটি কয়েক প্রশ্নের উত্তর দিয়ে নিয়োগ সংক্রান্ত মেধাতালিকায় জায়গা পেয়েছেন অন্তত আট হাজার জন। 

রিপোর্টে উল্লেখ, নবম-দশমে ৯৫২ জন, একদশ-দ্বাদশে ৯০৭ জন, গ্রুপ-সি ৩৪৮১ জন এবং গ্রুপ-ডি পর্যায়ে ২৮২৩ জন ওএমআর জালিয়াতি করে চাকরি পেয়েছেন। মোট ৮,১৬৩ জনকে বেআইনি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এদিন বিচারপতি বসুর এজলাসে এই রিপোর্টই পেশ করা হয়।

close