Kode Iklan atau kode lainnya

‘চারিদিকে আলোর ছড়াছড়ি, অথচ আমরা অন্ধকারে’, শারদ শুভেচ্ছার পোস্টারে প্রতিবাদ বঞ্চিত কলেজের মেধাতালিকা ভুক্ত চাকরি প্রার্থীদের

নিউজ ডেস্ক: শারদ শুভেচ্ছার পোস্টারের মাধ্যমে অভিনব প্রতিবাদ জানালো ২০১৮ কলেজ সার্ভিসের নিয়োগ না পাওয়া মেধা তালিকাভুক্ত প্রার্থীরা। এদিন পোস্টারে দেখতে পাওয়া গেলো এমন কিছু কথা- 'এই দুর্গাপূজায় মায়ের কাছে আমাদের প্রার্থনা- 

অশুভ শক্তির বিনাশের সঙ্গে মা তুমি শিক্ষাকে দুর্নীতি মুক্ত করো। অযোগ্যদের হটিয়ে, যোগ্যদের তাদের প্রাপ্যকে ফিরিয়ে দাও।'

'এবার দুর্গাপূজায় পাড়ার পুজো প্যান্ডেলের পাশে 'ঘুগনি'র দোকান দিয়ে কিছু আয় করবো ভেবেছিলাম। 

 NET, SET, M.Phil, Ph.D., বিদেশ থেকে Post. Doc. শুনে পাড়ার 'দাদা' ও 'ভাইপো'রা মেরে তুলে দিলো।..

রাজ্য সরকারের চৈতন্য  হোক।'

'ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন তিনি ২৯৪ বিধানসভা আসনের প্রতিটিরই প্রার্থী।

তাহলে পশ্চিমবঙ্গের যেখানে যতো চুরি হয়েছে, হচ্ছে তার মদতে?

ভোটের সময় যদি তিনি দাবি করেন আমি প্রার্থী, তাহলে তিনি এখন কেন বলছেন দুর্নীতি, চুরি বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না?'

স্যোসাল মিডিয়ায় পোস্টার শেয়ার ও টুইট করে তারা তাদের প্রতিবাদকে ছড়িয়ে দিল জনগণের কাছে।

তাদের এধরনের প্রতিবাদের কারণ জানতে চাইলে সংগঠের পক্ষে হিমাদ্রি মণ্ডল জানান- "শারদোৎসব বাঙালির শ্রেষ্ঠ আনন্দের উৎসব। অথচ আমাদের জীবনে আনন্দ নেই। যাবতীয় যোগ্যতা, মেধা তালিকাভুক্ত হয়েও আমরা আজও চাকরি পাইনি। চারিদিকে আলোর ছড়াছড়ি, অথচ আমরা অন্ধকারে পড়ে রয়েছি। সময় পরিস্থিতি আজ আমাদের এমন পোস্টার বানাতে বাধ্য করেছে।" নিয়োগ না পাওয়া আর এক প্রার্থী ড. ক্ষুদিরাম চক্রবর্তী জানালেন- 'মেধা তালিকাভুক্ত না হয়েও অনেকে চাকরি পেয়েছেন অথচ মেধা তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও আমাদের চাকরি হয়নি। কারো নম্বর প্রকাশ করা হলো না। কাকে কোন যোগ্যতায়, কোন কলেজে নিয়োগ দেওয়া হল তাও কারো জানা নেই। পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া চালানো হয়েছে সকলকে অন্ধকারে রেখে। মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষমন্ত্রী, উচ্চশিক্ষা দপ্তর সমস্ত জায়গায় দুর্নীতির অসংখ্য প্রমাণসহ বহুবার চিঠি দিলেও তারা স্কুলের সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হলেও কলেজ সার্ভিসের দুর্নীতির বিষয়ে নীরব। বড়ো চাকরি, বড়ো দুর্নীতি খুব শীঘ্রই বাইরে আসবে যদি ওনারা দ্রুত কোনো সদর্থক পদক্ষেপ না নেন আমাদের জন্য। বিচার ব্যবস্থার প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্তা রয়েছে। হাইকোর্টে আমাদের অনেকগুলো কেস চলছে এই নিয়োগ নিয়ে।' 

close