নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে একের পর এক নজিরবিহীন সব দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসছে। এরই মধ্যে নিয়োগ নিয়ে বড় মন্তব্য করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। চাকরির জন্য কোনও সুপারিশ গ্রাহ্য হবে না, জানিয়ে দিলেন ব্রাত্য।
বুধবার ব্রাত্য বলেন, দলের নেত্রী ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে বলেছেন, একটি সুপারিশও গ্রাহ্য় হবে না। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের প্রতিজ্ঞা।
এসএসসি দুর্নীতির তদন্তে আদালতে চমকে দেওয়ার মতো তথ্য দিয়েছে সিবিআই। যিনি শূন্য পেয়েছেন তার খাতায় ৫০ এর বেশি নম্বর দিয়ে দেওয়া হয়েছে। যিনি কিছুই লেখেননি তাকেও জালিয়াতি করে পাস করানো হয়েছে। এরকম এক পরিস্থিতিতে সুপারিশে আর কোনও চাকরি নয় বলে জানালেন শিক্ষামন্ত্রী।
আগামী ১১ ডিসেম্বর টেট নেওয়া প্রসঙ্গে ব্রাত্য বসু বলেন, আমরা টেট নিচ্ছি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। এখনই আমরা টেট নিতে চাইনি। প্রাথমিক পর্যদের আধিকারিকরা বলেছিলেন এত তাড়াহুডে়া করে পরীক্ষা না নেওয়াই ভালো। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে ডিসেম্বরের মধ্যেই টেট নিতে হবে।
অন্যদিকে, স্কুলে শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় নজিরবিহীন তথ্য সামনে এসেছে। সিবিআই রিপোর্ট জানাচ্ছে, নবম-দশমে ৯৫২ জন, একদশ-দ্বাদশে ৯০৭ জন, গ্রুপ-সি ৩৪৮১ জন এবং গ্রুপ-ডি পর্যায়ে ২৮২৩ জন ওএমআর জালিয়াতির মাধ্যমে চাকরি পেয়েছেন। অর্থাৎ, মোট ৮,১৬৩ জন!
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে মুখবন্ধ খামে পেশ করা রিপোর্টে এ সংক্রান্ত তালিকা দিয়েছে সিবিআই। এ বিষয়ে ২০১৬ সালের ‘স্কুল সার্ভিস কমিশন’ (এসএসসি) পরীক্ষার ওএমআর শিট (উত্তরপত্র) জালিয়াতির তালিকায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে আদালতে পেশ করা হয়েছে।
সিবিআইয়ের রিপোর্টে বলা হয়েছে, মাত্র দু’একটি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে এবং সাদা খাতা জমা দিয়েই নবম-দশম ও একদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষকতা এবং গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি পর্যায়ে চাকরিতে নিয়োগের মেধাতালিকায় জায়গা পেয়েছেন অন্তত আট হাজার জন। যা শুনে চমকে যান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও। এই আট হাজারের মধ্যে কারা সুপারিশপত্র এবং নিয়োগপত্র পেয়েছেন তাঁদের তালিকা তৈরি করতে নির্দেশ দেন বিচারপতি।