Kode Iklan atau kode lainnya

১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিয়ে শিক্ষকপদে চাকরি হয়েছিল! চাকরি হারিয়ে ঘোর হতাশায় বরখাস্ত শিক্ষকদের বড় অংশই

 ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিয়ে শিক্ষকপদে চাকরি হয়েছিল! চাকরি হারিয়ে ঘোর হতাশায় বরখাস্ত শিক্ষকদের বড় অংশই

নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে প্রতিনিয়ত একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। আদালতের নির্দেশে চলছে সিবিআই তদন্ত। গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি, গ্রেফতার হয়েছেন উপদেষ্টা কমিটির দুই সদস্য শান্তিপ্রসাদ সিনহা এবং অশোক সাহা। 

উত্তর ২৪ পরগনার গোপালপুরে সফিকুল হক র‍্যাঙ্ক হিসাবে পিছনে থাকা সত্তেও ২০২০ সালে গোপালপুর পপুলার অ্যাকাডেমি হাইস্কুলে ইতিহাসে শিক্ষক হিসেবে চাকরি পেয়েছেন। OBC কোটায় সফিকুলের ১২১ র‍্যাঙ্ক ছিল। 

সফিকুল হক চাকরি পেলেও বঞ্চিত হন ইলিয়াস বিশ্বাস।  মেধা তালিকায় তাঁর ৯৫ র‍্যাঙ্ক ছিল। ইলিয়াসের কথায়, 'আমার চেয়ে কম র‍্যাঙ্কে অন্যান্যরা চাকরি করছে। আমি এখনও লড়ে যাচ্ছি। এটা অন্যায়।'

শেখ ইনসান আলি কম র‍্যাঙ্ক হয়েও চাকরি পেয়েছিলেন। কলকাতা হাইকোর্টের অর্ডারে এ বছর তার চাকরি গেছে। ইনসান  আলির কথায়, 'আমি বোকামি করেছিলাম। আমাকে বলির পাঁঠা করা হল। বিক্ষোভ আন্দোলন যাতে বন্ধ হয়, তার জন্যই আমায় চাকরি দেওয়া হয়েছিল।'

হুগলির উত্তরপাড়া অমরেন্দ্র বিদ্যাপীঠের প্রাইমারি বিভাগের প্রধান শিক্ষক সুশান্ত ভট্টাচার্য বলেন, শিক্ষক সংগঠনগুলি সিন্ডিকেটের মতো কাজ করছে। নিম্নমেধার প্রার্থী স্রেফ তেল মেরে চাকরি টিকিয়ে রাখছে। তাঁর-ই স্কুলের সুমনা নিয়োগি ও চন্দ্রিমা দেবের চাকরি বাতিল হয়েছে। সুশান্তর দাবি অনুযায়ী, দুজনেই ২০১৭ সালে স্কুলে চাকরির জন্য ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঘুষ দেয়। আদালতের নির্দেশে দুজনেরই এখন চাকরি নেই। আমার স্কুলের দুই শিক্ষিকার চাকরি গেল। 

সুশান্তবাবু বলেন, '১২ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা দিয়ে চাকরি হয়েছিল। চন্দ্রিমার ছেলের ১২ বছর বয়স। স্বামী মেরেকেটে মাসে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা আয় করেন। সম্পত্তি বিক্রি করে ঘুষ দিয়েছিল চাকরিটার জন্য।'

close