Kode Iklan atau kode lainnya

স্কুল শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন বন্ধ করতে আরও কড়া স্কুলশিক্ষা দপ্তর, প্রধান শিক্ষকও FIR করতে পারবেন

নিউজ ডেস্ক: শিক্ষার অধিকার আইন অনুসারে স্কুলের শিক্ষকরা গৃহ শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন না। সবার জন্য শিক্ষা ২০০৯ আইন অনুযায়ী কোনও স্কুল শিক্ষক, মাদ্রাসা শিক্ষক নিজেকে টিউশনে যুক্ত করতে পারবেন না। শিক্ষকরা যাতে প্রাইভেট টিউশন না করেন, তার জন্য এর আগেও নির্দেশিকা দিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যে প্রতিটি জেলায় নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে সরকারি ও সরকার পোষিত বিদ্যালয়, মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষিকারা কোনও ভাবেই টিউশন করতে পারবেন না। 

তবে সরকারি নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিভিন্ন জেলাতে স্কুল শিক্ষকদের একাংশ টাকার বিনিময়ে গৃহশিক্ষকতা করার অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে। এই নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন গৃহ শিক্ষক কল্যাণ সমিতির সদস্যরা। এই অবস্থায় সরকারি শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশনে বিরত থাকতে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হল। 

এই অবস্থায় স্কুল শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন বন্ধ করতে আরও কড়া হল স্কুলশিক্ষা দপ্তর। প্রয়োজনে FIR করতে পারবেন প্রধান শিক্ষকরাও। স্কুলশিক্ষা দপ্তর এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।

স্কুলশিক্ষা দপ্তরের ২৭ জুন প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্কুলের কোনও শিক্ষক টিউশন করলে ব্যবস্থা নিতে পারবেন প্রধান শিক্ষক। আইন অনুযায়ী শিক্ষকদের টিউশন করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বুধবার স্কুলশিক্ষা দপ্তরের এক কর্তা জানিয়েছেন, “অনুরোধ উপরোধ অনেক হয়েছে। প্রাইভেট টিউশন করলে প্রধান শিক্ষকরা নির্দিষ্ট শিক্ষকের বিরুদ্ধে এবার থানায় এফআইআর করতে পারবেন।”

স্কুলশিক্ষা দপ্তর সম্প্রতি ৬১ জন স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। ওই শিক্ষকরা সরকারি বেতন নেওয়ার পাশাপাশি টিউশনও করেন বলে অভিযোগ। এই সংখ্যা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। শিক্ষকদের একটি বড় অংশই গোপনে অর্থের বিনিময়ে টিউশন পড়ান। বলাই বাহুল্য সেই টাকা কর বহির্ভূত। অর্থাৎ আয়কর জমা দেওয়ার সময় সেই টাকার হিসাব দেখানো হয় না।

নিষিদ্ধ সত্ত্বেও শিক্ষকদের একটি অংশ চুটিয়ে টিউশন করেছেন বলে অভিযোগ জমা পড়েছে বিকাশ ভবনে। অভিযোগ পাওয়ার পর প্রধান শিক্ষকদের ক্ষমতা বাড়াল সরকার।

close