নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কড়া পদক্ষেপ কলকাতা হাইকোর্টের। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে পদ থেকে অপসারণ করল আদালত। আদালতে জাল নথি পেশের দায়ে মানিক ভট্টাচার্যকে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতির পদ থেকে অপসারণ করল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার এই নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। একই মঙ্গলবার মানিকবাবুকে আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির ঘটনায় তথ্য তলব করেছে সিবিআই। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদকে দশ প্রশ্নের জবাব দিতে হবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে। সেই তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করে দিল সংসদ। গত ১৬ জুন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়, সিবিআইয়ের হাতে তথ্য তুলে দিতে হবে। তাই ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় যাঁরা উত্তীর্ণ হয়ে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের তথ্য জমা দিতে বলা হচ্ছে।
সোমবার রাজ্য শিক্ষা দফতর থেকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদগুলিকে একটি নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। তাতে মোট ১০টি তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে। সেগুলো হল-
১. নিয়োগপত্রের প্রতিলিপি,
২. চাকরিতে যোগদানের রিপোর্ট,
৩. ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড,
৪. টেটে যোগ্যতা অর্জনের তথ্য,
৫. সর্বস্তরের পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড রেজাল্ট ও সার্টিফিকেট,
৬. প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রশিক্ষণের শংসাপত্র,
৭. জাতিগত শংসাপত্র (যদি থাকে),
৮. পার্শ্বশিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত ‘প্যারাটিচার এগেজমেন্ট লেটার’,
৯. আগে যদি কোনও কাজের অভিজ্ঞতা থাকে তার সংশাপত্র (যদি থাকে)
১০. ২০১৪ সালের টেট সংক্রান্ত যদি কোনও তথ্য থেকে থাকে, তা-ও জমা দিতে বলা হয়েছে।
2014 সালের টেট পাশ করে শিক্ষক/শিক্ষিকা হিসাবে চাকরি করছেন তাদের চাকরি সম্পর্কিত সব তথ্য জমা করতে হবে। CBI তদন্তের জন্য লাগবে। টেট ২০১৪ নিয়োগে 2017 থেকে 2019 এর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যারা চাকরি পেয়েছে তাদের সবার তথ্য চেয়েছে সিবিআই। তাঁর জন্য জেলার সমস্ত DPSC-কে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান রুপা বাগচীর সাক্ষরকৃত নোটিশে বলা হয়েছে, TET-2014-যোগ্য প্রার্থী, যাঁরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক/শিক্ষিকা হিসাবে নিয়োগপ্রাপ্ত তাঁদের সম্পর্কিত মূল রেকর্ড/ফাইল জমা করার জন্য বলা হচ্ছে। CBI তদন্তের জন্য প্রয়োজন পড়ছে।