নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরগরম রাজ্য। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চলছে সিবিআই তদন্ত। ২০১৪ সালের পর প্রাথমিকে শিক্ষকপদে যোগ দেওয়া শিক্ষকদের তথ্য সংগ্রহ করছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। জোর কদমে তথ্য সংগ্রহ চলছে বিভিন্ন জেলা সংসদে।
সম্প্রতি উত্তর দিনাজপুর জেলায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে ৪০ জন প্রাথমিক শিক্ষকের। আর তারপরই জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল মহম্মদ জায়িদ আলমকে। দায়িত্ব দেওয়া হল বিদ্যালয় পরিদর্শককে। পদে বসার এক বছরের মধ্যেই সরিয়ে দেওয়া হল উত্তর দিনাজপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান মহম্মদ জায়েদ আলমকে। সম্প্রতি স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে এই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। আপাতত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক দীপক চন্দ্র ভক্ত। তবে কী কারণে এই অপসারণ, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়।
এই নিয়ে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক দীপক কুমার ভক্ত জানান, ‘জেলা শিক্ষা দফতরের যত অফিস রয়েছে, সবই আমার কাঁধে এসে পড়ল। আমার পক্ষে কাজ করা খুবই কঠিন হয়ে যাচ্ছে। ভ্যাকসিন থেকে শুরু করে মিড ডে মিল এগুলিও আমাকে দেখতে হয়। স্বাভাবিকভাবে খুবই চাপের মধ্যে আছি। জানি না কতটা সামলাতে পারব। তবে আমার সহকর্মীরা যারা আছেন, তাঁরা যদি আমাকে সাহায্য করেন, তাহলে কাজ উতরে দিতে পারব।’
কিন্তু কেন অপসারণ করা হল মহম্মদ জায়েদ আলমকে। এই বিষয়ে কিছু বলতে না পারলেও জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক জানান, ‘গত ২৭ জুন বিষয়টি আমি জানতে পারি। জানতে পারি, জায়েদ আলমকে অপসারিত করা হয়েছে। চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়নি। কালকে উনি আসেননি। ওনার সঙ্গে কথা বলতে খারাপ লাগছে। উনি খুব ভালো লোক ছিলেন। যেকদিন কাজ সামলেছেন, সুন্দরভাবে কাজ সামলেছেন। কে বা কী কারণে সরিয়ে দেওয়া হল, সেটা বলতে পারব না।’
এর আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা প্রাথমিক সংসদের চেয়ারম্যান এর পদ থেকে পদত্যাগ করেন কৃষ্ণেন্দু বিষই। রবিবার ফেসবুকে নিজেই সে কথা জানান তিনি। নিজের পদত্যাগ করার কথা ফেসবুকে। কোচবিহার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো প্রাক্তন মন্ত্রী হিতেন বর্মনকে। আপাতত তাঁর জায়গায় দায়িত্ব সামলাবেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক)।