Kode Iklan atau kode lainnya

শিক্ষক হতে চেয়ে দলের নেতাকে ১৪ লক্ষ টাকা ঘুষ! প্রতারণার শিকার খোদ তৃণমূল নেতা

নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক হতে চেয়ে দলের নেতাকে ঘুষ! ঘুষ দিয়েও শিক্ষক হওয়া হয়নি, ১৪ লক্ষ দিয়ে প্রতারিত তৃণমূল নেতা। এ বার চাকরির নামে প্রতারণার শিকারের অভিযোগ করলেন খোদ তৃণমূল নেতা। তিনি আবার গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য! উচ্চ প্রাথমিকে চাকরি দেওয়ার নাম করে যুব তৃণমূল নেতার কাছ থেকে সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তৃণমূলেরই এক নেতা। ঘটনাস্থল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সাদলিচক এলাকা। ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই হুলস্থুল পড়েছে এলাকায়।

অভিযুক্ত মহিদুর রহমান ওরফে বাদল এলাকার তৃণমূল নেতা বলে পরিচিত। এই ব্যাক্তির বিরুদ্ধে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সাদলিচক গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য তথা ওই এলাকার যুব তৃণমূলের সভাপতি আরজাউল হক। অভিযোগ ২০০৯ সালে উচ্চ প্রাথমিকে চাকরি করিয়ে দেওয়া নাম করে ১৪ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন মহিদুর রহমান। ১৩ বছর পরেও সেই চাকরি হয়নি।

তৃণমূল নেতা তথা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য আরজাউল হকের অভিযোগ, ২০১৯ সালে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষকতার চাকরির জন্য পাশের গ্রাম সুলতাননগরের নেতা মহিদুর রহমান ওরফে বাদলকে তিন দফায় সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকা দেন তিনি। কিন্তু তিন বছর পেরিয়ে গেলেও যখন চাকরি মেলেনি। তখন টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি করেন তিনি। যদিও ফেরত পাননি এক টাকাও। বরং টাকা ফেরত চাইতে গেলে মিলেছে হুমকি।

তৃণমূল করার সূত্রেই তাঁর সঙ্গে অভিযুক্ত নেতার পরিচয় হয়েছিল। পরে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। নিজের প্রভাবের কথা বলে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। এরপরেই ফাঁদে পা দেন আরজাউল। দিয়ে দেন ৩ দফায় সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকা।

এই বিষয়ে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা মালদা জেলার তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেছেন, ‘‘কেউ চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিলে তাঁর দলীয় পরিচয় দেখা হবে না। অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নেবে।’’

close