নিউজ ডেস্ক: হুল দিবস উপলক্ষে 30জুন,2022 সেকশনাল হলি ডে আগেই (No: 3640/1/(500)-F(P2) dated 26/11/2021) ঘোষনা করেছে রাজ্য সরকার। এই উপলক্ষে গতকাল বিকেলে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ এক বিজ্ঞপ্তিতে (No: L/SECY/54/2022 Dated 29/06/2022) জানিয়েছে, 30জুন একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির কোনো থিওরী ও প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা নেওয়া যাবে না।
কিন্তু গতকাল সন্ধায় DSE --> DI --> SI অফিস থেকে HM/TICদের whatsapp মেসেজে বা ফোন বার্তায় জানানো হয়, এই উপলক্ষে 30 তারিখ শুধুমাত্র xi-xii এর পরীক্ষা স্থগিত নয়, বিদ্যালয়ে কোনোরকম পরীক্ষাই রাখা যাবে না। অর্থাৎ চলমান 1st Summative পরীক্ষাও নেওয়া যাবেনা।
এই বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির (STEA) দক্ষিণ ২৪ পরগণার জেলা সম্পাদক অনিমেষ হালদার বলেন, এই বিবেচনাহীন সিদ্ধান্তটি কার্যকর করানোর অনুরোধ জানিয়ে আধিকারিকদের পক্ষ থেকে ফোন করা হয় আমাদের কাছে। হঠাৎকরে বিবেচনাহীন এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদেরই পূর্বের বিজ্ঞপ্তি (No: D.S( Aca)/287/A/25/3 dated 17/06/2022) অনুযায়ী বহু স্কুলে v-x পরীক্ষা চলছে। কারন এই বিজ্ঞপ্তিটি ২৮জুন - ৬ জুলাইয়ের মধ্যে 1st Summative শেষ করতে বলা হয়েছিল। তাই দপ্তরের কোনো বিজ্ঞপ্তি ছাড়া যেভাবে মৌখিক বার্তায় চলমান পরীক্ষা হঠাৎ আগেরদিন সন্ধ্যাবেলা স্থগিত রাখার কথা বলা হয়েছে তা অত্যন্ত আপত্তিজনক।
যদিও বিষয়টি নিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় আধিকারিকদের সাথে কথা বলে দ্রুত পর্ষদের একটি বিজ্ঞপ্তি বের করতে বলা হয় এবং অবশেষে সেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় মধ্যরাত্রে। যদিও মধ্যরাত্রে প্রকাশিত এই বিজ্ঞপ্তিতে নেই কোনো Notification No.
ফলে এই পুরো বিষয়টি নিয়ে নবান্নের সাথে শিক্ষা দপ্তরে এবং শিক্ষা দপ্তরের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে সমন্বয়ের চরম অভাব ধরা পড়ল।
🕳️ রাজ্য সরকারের এত আগের ঘোষিত ছুটি নিয়ে শিক্ষাদপ্তরের কোন চিন্তাভাবনা থাকল না কেন?
🕳️আগে থেকে সিদ্ধান্ত না নিয়ে ঠিক আগের দিন বিকেলে কাউন্সিল কর্তৃক পরীক্ষা স্থগিতের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলো কেন?
🕳️আবার উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ বিকেলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলেও সেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে (তাও আবার আমাদের তৎপরতায়) মধ্যশিক্ষা পর্ষদের মধ্যরাত লেগে গেল কেন?
🕳️আগের দিন সন্ধ্যায় বা রাত্রে পরীক্ষা স্থগিতের বার্তা কিভাবে গ্রামবাংলায় ছাত্রছাত্রীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব?
🕳️আজ যারা স্কুলে পরীক্ষা দিতে আসবে সেই পড়ুয়া বা অভিভাবকদের সামনে প্রধান শিক্ষক সহ স্কুলকে কি বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না?
যেখানে রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা, পড়াশোনা যুক্ত সেরকম একটা বিষয়ে প্রশাসনের এই দিশেহারা অবস্থা প্রমাণ করে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার কি বেহাল দশা। দীর্ঘদিন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নির্বাচন স্থগিত রেখে সেটাকে ঘুঘুর বাসা পরিণত করা এবং শিক্ষক সংগঠন গুলির সাথে কোন বিষয়ে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কোনো আলোচনা না করে বিকাশ ভবনের স্বেচ্ছাচারী মনোভাবের ফলেই আজকের পুরো শিক্ষাদপ্তর এই জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে।