Kode Iklan atau kode lainnya

এবার মুখ খুললেন ‘আমরেলা গার্ল’ সুদীপ্তা! ভিডিও পোস্টের মাধ্যমে করলেন এই আবেদন

নিউজ ডেস্ক: মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়েছিল!  এক ভিডিয়োতেই জীবন তছনছ! Umbrella বানান ভুল বলে ট্রোলিং-এ জর্জরিত নদিয়ার সুদীপ্তা বিশ্বাসের জীবন। মুখ খুলেছিলে ছাত্রীর বাবা। এক বানানে চিনছেন সবাই। তরুণী তো দূরে থাক, ‘সমাজ’ মুখ ফিরিয়েছে গোটা পরিবারের থেকে। নদিয়ার সুদীপ্তা বিশ্বাস এখন 'আমব্রেলা দিদি'। টোন টিটকিরির হাত থেকে বাঁচতে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তিনি, দাবি পরিবারের। 

নদিয়ার একটি স্কুলের সামনে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার অনুত্তীর্ণ তরুণীরা বিক্ষোভে বসেছিলেন। তাঁদেরই একজন সুদীপ্তা বিশ্বাস। তাঁকে এক সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করেন, "কেন বিক্ষোভ তাঁদের?" প্রশ্নের জবাবে সুদীপ্তা বলেন, "সাতটি মেয়েকে ইংরেজিতে ফেল করানো হয়েছে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে লেটার পেয়েও তাঁরা। সেক্ষেত্রে ইংরেজিতে ফেল করার বিষয়টি কিছুতেই মানতে পারছেন না। আর সেই কারণেই পাশ করানোর দাবিতে তাঁদের প্রতিবাদ।"

এরপরেই সাংবাদিক প্রশ্ন করেন তাঁকে 'আমব্রেলা' বানান বলতে। প্রথমে ওই তরুণী অল্পবিস্তর প্রতিবাদ করেন, "কে রে, কী বলছেন, এসব নিতে এসেছেন" বলে প্রতিবাদ জানান। এরপরেই তিনি বলেন, "AMRELA"। এরপরেই নেটপাড়ায় রীতিমতো ঠাট্টার রোল। তাঁকে নিয়ে ট্রোলের বন্যা। কেউ আবার বানাচ্ছেন ‘রিমিক্স’ গান।

এমতাবস্থায়, সুদীপ্তা এবার এই প্রসঙ্গে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। পাশাপাশি, একটি ভিডিও নেটমাধ্যমে শেয়ার করেছেন তিনি। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, তাঁকে ঘিরে এমন কিছু ভিডিও বানানো হয়েছে যেখানে তাঁর নামে ভুল তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে। এমনকি, তাঁর পরিবারের সদস্যদের যুক্ত করে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এদিকে, কিছুদিন আগেই সুদীপ্তা মারা গিয়েছেন দাবি করে অনেকেই ভিডিও বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন। এই ঘটনারও প্রতিবাদ জানান তিনি।

এর পাশাপাশি নিজের ভাইকে “বয়ফ্রেন্ড” বানিয়ে দিয়েও বেশ কিছুজন ভিডিও তৈরি করেছেন বলে জানান সুদীপ্তা। এক কথায়, তিনি তাঁর নামে বলা মিথ্যে এবং ভুল তথ্য পরিবেশনের জন্য প্রতিবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি, তিনি এও জানান যে, অবসর পেলে তিনি রিল বানাতে ভালোবাসেন। তবে, তাঁর পরিবারের সদস্যদের যেভাবে প্রশ্নের মুখে ফেলা হচ্ছে সেই ঘটনার তীব্র বিরোধিতা করেন তিনি।

এর আগে সুদীপ্তার বাবা সুকুমার বিশ্বাস বলেছিলেন, “মেয়ে দু'তিন বার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। আমরা চোখে চোখে রাখছি বলে এখনও কোনও অঘটন ঘটেনি। আমরা বাড়ি থেকে বার হতে পারছি না। যেসব কথা বলছে তা সহ্য করা যাচ্ছে না। যাঁরা এসব রটাচ্ছে তাঁদের অনুরোধ করছি এই রকম করবেন না।” কাছের মানুষরাও পাশে নেই বলে জানান তিনি। সুদীপ্তার বাবার কথায়, “নিজের আত্মীয় প্রতিবেশীরা খারাপ মন্তব্য করছে। বলছে পড়াশোনা শেখাতে পারেননি। আমি দেখেছি ইউটিউবে ওই ভিডিয়োটা। ওকে বলেছে 'আমবেলা' বানান করতে। তাই ও ওই বানান করেছে। ওকে যদি বলত 'আমব্রেলা' বানান করতে তাহলে হয়তো ঠিক বলত। যেভাবে প্রশ্ন করা হয়েছে সেভাবে উত্তর দিয়েছে। আমার মনে হয় ও ঠিক উত্তর দিয়েছিল।" 

এখন মুখ লোকানোর জায়গা খুঁজতে হচ্ছে 'Amrela' বানান করা সেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে। পাড়া, প্রতিবেশী সকলেই ভাইরাল ভিডিয়োতে ডুবে। চেনা তরুণীকে রাতারাতি যেন সোশ্যাল মিডিয়ায় চরিত্রের চুলচেরা বিশ্লেষণে যে সুদীপ্তার জীবনে ঝড় এসেছে, তা কি আদৌ শুনতে পারছেন নেটিজেনরা! প্রশ্ন পরিবারের।

close