Kode Iklan atau kode lainnya

স্ত্রীর চাকরির জন্য ২০ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়ে সর্বহারা তৃণমূল নেতা

 

নিউজ ডেস্ক: চাকরির জন্য ২০ লক্ষ টাকা দিয়ে সর্বহারা তৃণমূল নেতা। স্ত্রীকে ভূমিদপ্তরে চাকরির টোপ দিয়ে ২০লক্ষ ২০ হাজার টাকা প্রতারণার অভিযোগে রেভিনিউ ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে থানার দ্বারস্থ হলেন নন্দকুমারের তৃণমূল নেতা স্বপন পাত্র। তিনি নন্দকুমার ব্লকের বাসুদেবপুর বুথের তৃণমূলের সভাপতি। নন্দকুমার ব্লকের কুমোরআড়া গ্রামের বাসিন্দা পেশায় ভূমিদপ্তরের রেভিনিউ ইন্সপেক্টর প্রশান্ত সাহুকে স্ত্রীর চাকরির জন্য ২০ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দিয়েছেন বলে স্বপনবাবুর দাবি। 

টাকা দিয়েও স্ত্রী চন্দনা পাত্রের চাকরি হয়নি, এরপর বারবার টাকা চেয়েও পাননি স্বপনবাবু। এই অবস্থায় মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে চন্দনাদেবীর মৃত্যু হয়েছে বলে স্বপনবাবু জানান। গত ২১ জুন নন্দকুমার থানায় রেভিনিউ ইন্সপেক্টর প্রশান্ত সাহুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস।

স্বপনবাবুর দাবি, অভিযুক্ত রেভিনিউ ইন্সপেক্টর তাঁর পরিচিত। দু’জনে পাশাপাশি দু’টি গ্রামের বাসিন্দা। ২০১০ সাল নাগাদ অভিযুক্ত স্বপনবাবুর স্ত্রীকে ভূমিদপ্তরে চাকরি পাইয়ে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। ২০১০ এবং ২০১১ সালে তাঁকে দু’দফায় ১৮ লক্ষ টাকা দেন স্বপনবাবু। তারপর ব্যাঙ্কঋণ নিয়ে আরও ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দেন। যদিও দীর্ঘ অপেক্ষার পরও চাকরি হয়নি। টাকা ফেরত চাইলে তাও দেওয়া হয়নি। 

এপ্রিল মাসে ওই তৃণমূল নেতা নন্দকুমার থানায় যান। রেভিনিউ ইন্সপেক্টরকে থানায় ডেকে টাকা ফেরতের চাপ দেওয়ার কৌশল নেওয়া হয়। সেইমতো গত ১০ এপ্রিল অভিযুক্ত রেভিনিউ ইন্সপেক্টর ১৩ তারিখের মধ্যে পুরো টাকা ফেরত দেবেন বলে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বলেও এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে। গত ৫ জুন তৃণমূলের বুথ সভাপতি স্থানীয় কয়েকজনকে নিয়ে টাকা চাইতে কুমোরআড়া গ্রামে প্রশান্তবাবুর বাড়িতে যান। সেসময় অভিযুক্ত রেভিনিউ ইন্সপেক্টর লাথি, ঘুসি ও চড়থাপ্পড় মারেন বলে অভিযোগ। তাঁর স্ত্রীকে দিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে জেল খাটানোর হুমকিও দেন। এমনকী গাড়ি চাপা দিয়ে খুন করার হুমকিও দিয়েছেন বলে বুথ সভাপতির দাবি।

অভিযুক্তের কাছ থেকে টাকা ফেরাতে শেষপর্যন্ত নন্দকুমার থানায় এফআইআর করেছেন স্বপনবাবু। তিনি বলেন, আমার এখন ৬১ বছর বয়স। ২০১০ সালে স্ত্রীর চাকরির জন্য টাকা লেনদেন হয়েছিল। আমি রেভিনিউ ইন্সপেক্টরকে মোট ২০ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দিয়েছি। যদিও স্ত্রীর চাকরি হয়নি। চাকরি না হওয়ায় এবং অতগুলো টাকা ফেরত না পাওয়ায় আমার স্ত্রী মানসিক অবসাদে ভুগে মারা গিয়েছেন। আমি টাকা ফেরত চাই। 

অভিযুক্ত রেভিনিউ ইন্সপেক্টর বলেন, আমি রবিবার পর্যন্ত সময় চেয়েছি। একটা ভুল বোঝাবুঝি হওয়ার কারণে বিষয়টি নিয়ে থানা-পুলিস অবধি গড়িয়েছে। আমি রবিবারের মধ্যে গোটা বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দেব। 

close