নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ আট বছরেও উচ্চ প্রাথমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগে জট কাটেনি। এই অবস্থায় ফের আন্দোলনে নামছেন চাকরি প্রার্থীরা। এর আগে সময়সীমা বেঁধে কলকাতা হাই কোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল, ২০২১ সালের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। সেই সময়সীমা অনেক আগেই শেষ হয়েছে।
চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ, হাই কোর্টের নির্দেশের পরে প্রায় এক বছর হতে চলল। কিন্তু আইনি জটিলতায় তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনও বিশ বাঁও জলে। দ্রুত নিয়োগের দাবিতে উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা আবার রাস্তায় নেমে অবস্থান-বিক্ষোভ করতে চলেছেন।
উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য পরীক্ষা নেওয়া হয় ২০১৫ সালের ১৬ অগস্ট। মেধা-তালিকা প্রকাশিত হয় ২০১৯ সালের ৪ অক্টোবরে। অনিয়ম ও অস্বচ্ছতার অভিযোগে ২০২০ সালের ১১ ডিসেম্বর সেই মেধা-তালিকা বাতিল করে দেয় হাই কোর্ট। বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের বেঞ্চ রায় দেয়, ২০২১-এর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে উচ্চ প্রাথমিকের ১৪,৩৩৯টি শূন্য পদে নিয়োগ শেষ করতে হবে।
উচ্চ প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের সহ-সভাপতি সুশান্ত ঘোষ বলেন, ‘‘ইন্টারভিউ হয়েছে, এমন ২১৫ জন চাকরিপ্রার্থী দ্রুত শুনানির জন্য ফের মামলা করেছেন। সেই মামলা ডিভিশন বেঞ্চ গ্রহণও করেছে। কিন্তু ২৫ এপ্রিল থেকে সেটি তালিকায় থাকলেও শুনানি হয়ে উঠছে না।’’
এসএসসি বা স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, ‘‘উচ্চ প্রাথমিকে যাঁরা ইন্টারভিউ দিয়েছেন এবং যাঁদের অভিযোগ ছিল, তাঁদের সকলেরই তথ্য জমা দিয়েছি। কিন্তু শুনানি তালিকায় থাকলেও তা এজলাসে উঠছে না। আমরাও চাই, দ্রুত শুনানি শুরু হোক। নবম থেকে দ্বাদশ এবং কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার শিক্ষকপদ প্রার্থীদের নিয়োগের বিষয়ে আদালত অথবা রাজ্য সরকার কোনও সিদ্ধান্ত নিলে সেই অনুযায়ী কাজ হবে। এই বিষয়ে তাঁরা আদালত ও সরকারকে সব ধরনের তথ্য দিয়ে সাহায্য করবেন।”