Kode Iklan atau kode lainnya

রবীন্দ্রনাথ বেঁচে থাকলে নিজের হাতে মমতাকে পুরস্কৃত করতেন, বড় মন্তব্য শুভাপ্রসন্নর

নিউজ ডেস্ক: কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১ তম জন্মজয়ন্তীর দিন বাংলা অ্যাকাডেমির বিশেষ সাহিত্য সম্মানে পুরস্কৃত হয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর এই পুরস্কার লাভকে তীব্র কটাক্ষ করছেন একাংশ। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কটাক্ষ করে বলেছেন, আপাং-ঝপাং-বাপাং লিখে পুরস্কার পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, এটা আসলে বাংলার অপমান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রিট্রিভার্সিপ পুরস্কার প্রাপ্তির প্রতিবাদে লোকসংস্কৃতি গবেষক ও সাহিত্যিক রত্না রশিদ ব্যানার্জি ফিরিয়ে দিয়েছেন ২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গ বাংলা একাডেমি থেকে পাওয়া “অন্নদাশঙ্কর রায় স্মারক সম্মান”। তার মতে মমতা বন্দোপাধ্যায় কে সাহিত্যিক হিসেবে পুরস্কৃত করে আসলে অপনাম করা হয়েছে সেই সব সাহিত্যিকদের, যারা সত্যিই নিরলস সাহিত্য সাধনা করে চলেছেন।

যদিও চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন বললেন, রবীন্দ্রনাথ বেঁচে থাকলে নিজের হাতে পুরস্কৃত করতেন মমতাক। মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ পুরস্কার পাওয়া নিয়ে সাহিত্যকদের একাংশের নেতিবাচক মনোভাব তাঁকে ‘লজ্জিত’ করে। এর পরই মমতার আক্রমণকারীদের ঈর্ষাকাতর বলে আক্রমণ করে শুভাপ্রসন্ন বলেছেন, “রবীন্দ্রনাথ থাকলে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ এসে মমতাকে সম্বর্ধনা দিতেন।”

এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন মমতাপন্থী চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন। মমতা বন্দোপাধ্যায় কে এই পুরস্কার দেওয়াতে কোন অন্যায় দেখছেন না তিনি। বরং মমতার পুরস্কার পাওয়ায় একশ্রেণীর সাহিত্যিকদের সমালোচনা তা লজ্জিত করছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, মমতা বন্দোপাধ্যায়কে যারা আক্রমন করছেন এই পুরস্কারপ্রাপ্তিতে, সেই সাহিত্যিকরা আসলে ঈর্ষাকাতর। এরপরেই তাঁর সংযোজন, রবীন্দ্রনাথ বেঁচে থাকলে নিজের হাতে পুরস্কৃত করতেন মমতাকে।

মমতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ শুভাপ্রসন্ন বলেছেন, “মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী নানা বিষয়ে নানা প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। এবং তিনি নানা কারণেই এক অন্য ধরনের মানুষ। মনের আবেগ, উচ্ছ্বাস, ভালো লাগা, খারাপ লাগা নিয়ে কবিতা লিখেছেন। এবং তাঁকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।”

কবি-সাহিত্যিকদের আক্রমণ শানিয়ে শুভাপ্রসন্ন বলেছেন, “জনগণের হয়ে কাজের পাশাপাশি কবিতা, গান লিখেছেন মমতা। সাহিত্যের প্রতি নিজের ভালবাসা ব্যক্ত করেছেন। তাঁরা পুরস্কার পেয়েছেন এটা লোকে মনে রাখবে না। মমতার পাওয়া পুরস্কার তাঁরা পেয়েছেন, এটা তাঁদের শ্লাঘার বিষয় হওয়া উচিত। এরা রবীন্দ্রনাথকে বোঝেননি, আর পুরস্কারকেও বোঝেননি। রবীন্দ্রনাথ থাকলে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ এসে মমতাকে সম্বর্ধনা দিতে পারতেন। রবীন্দ্রনাথ এদের মতো ঈর্ষাকারত ছিলেন না।”

close