Kode Iklan atau kode lainnya

মাধ্যমিক থেকে স্নাতক, পিএইচডি পাঠরত মেধাবী অঙ্কিতার তাক লাগানো রেজাল্ট

নিউজ ডেস্ক: এলাকায় যথেষ্ট মেধাবী ছাত্রী হিসাবে পরিচিতি ছিলেন। মাধ্যমিক থেকে স্নাতক, তাক লাগানো রেজাল্ট বরখাস্ত হওয়া শিক্ষিকা অঙ্কিতা অধিকারীর। মেধাতালিকায় না থাকলেও স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক নিয়োগে প্রভাব খাটিয়ে নিজের মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ অভিযোগ উঠেছে পরেশ অধিকারীর বিরুদ্ধে। আদালত প্রথমক ভাবে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। ইতিমধ্যেই অঙ্কিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে বেতন ফেরতেরও নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। 

বাড়ির কাছাকাছি ইন্দিরা গার্লস হাইস্কুলে চাকরি করতেন তিনি। ওই স্কুলেই পড়াশুনো মন্ত্রীর কন্যা অঙ্কিতার। মেধাবী ছাত্রী অঙ্কিতা ২০০৬ সালে মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন প্রথম বিভাগে। পেয়েছিলেন স্টার মার্কস। উচ্চ মাধ্যমিকেও প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। এরপর রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরেও নজরকাড়া রেজাল্ট করেন অঙ্কিতা। তারপর শেষ করেন বিএড। মেখলিগঞ্জের স্কুলে সহকারী শিক্ষিকা পদে যোগ দেওয়ার আগে বেশ কিছুদিন পড়িয়েছিলেন মেখলিগঞ্জের একটি বেসরকারি ডিএলএড-বিএড কলেজে। এই মুহূর্তে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করছেন অঙ্কিতা। 

বিএড ও এমএড সম্পন্ন করেছেন অঙ্কিতা। বর্তমানে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করছেন অঙ্কিতা। রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে অঙ্কিতা যে দিন গবেষণাপত্র জমা দিতে গিয়েছিলেন, সে দিন সর্বক্ষণ তাঁর সঙ্গী ছিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বাবা।

যদিও সবকিছুকেই ছাপিয়ে গেছে তাঁর নিয়োগ বিতর্ক। ২০১৬ সালে SLST-র মাধ্যমে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগ করে SSC. সে বছর রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক পদে চাকরি পান রাজ্যের স্কুলশিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা। যদিও প্রথমে মেধাতালিকায় নাম ছিল না অঙ্কিতা অধিকারীর। পরে হটাৎ করে তালিকায় মন্ত্রীর মেয়ের নাম যুক্ত করা হয়। ফলে মেধাতালিকায় থাকা অন্য যোগ্য কর্মপ্রার্থীরা পিছিয়ে পড়েন।

হাইকোর্টে মামলা শুনানিতে SSC-র সদ্য প্রাক্তন চেয়ারম্যান জানান, 'মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ের প্রাপ্ত নম্বর ৬৬। পার্সোনালিটি টেস্ট ছাড়াই তাঁর নাম তালিকা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে'। আদালত গতকাল তাঁর চাকরি বাতিল করেছে। সেই সঙ্গে বেতন ফেরতেরও নির্দেশ দিয়েছে। 

close