Kode Iklan atau kode lainnya

নিজের মাসির প্রেমে অন্ধ হয়ে বিয়ে! ছেলেকে রাতারাতি 'জামাই' হিসেবে মেনে নিতে নারাজ মা...

নিউজ ডেস্ক: মাসির সঙ্গে প্রেম! সেই প্রেমের অনেক করুণ পরিণতি ডেকে আনলেও এই প্রেমকে সফল করে দেখিয়েছে ঝাড়খণ্ডের এক যুগল। নিজের মাসিকেই বিয়ে করেছে সোনু রানা নামক ঝাড়খণ্ডের এক তরুণ। যদিও ছেলেকে রাতারাতি 'জামাই' হিসেবে মেনে নিতে পারছেন না মা। তাঁদের আলাদা করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে গোটা পরিবার।

ঝাড়খণ্ডের ছাত্রা গ্রামের বাসিন্দা সোনু, হায়দরাবাদের একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। বিগত এক বছর ধরে মায়ের নিজের বোনের সঙ্গেই চুটিয়ে প্রেম করছিলেন তিনি। সেই সম্পর্ককে স্বীকৃতি দিতে একটি শিব মন্দিরে গিয়ে বিয়েও করেন তাঁরা। বিয়ের বিষয়ে পরিবারে জানাজানি হতেই গ্রামবাসীরা কার্যত রে রে করে তেড়ে আসেন। বাড়ি থেকে পালান ওই নবদম্পতি। তাঁদের অভিযোগ, পরিবারের সদস্যরাই তাঁদের প্রাণে মেরে ফেলতে পারে। ফলে আপাতত তাঁরা সদর পুলিশ স্টেশনের দ্বারস্থ হয়েছেন। সোনুর কথায়, তিনি এবং তাঁর নব বিবাহিতা স্ত্রী (সম্পর্কে মাসি) দুজনেই প্রাপ্ত বয়স্ক। ফলে তাঁরা একসঙ্গে থাকা বা বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতেই পারেন।

সোনুর এই দাবি কিছুতেই মেনে নিতে নারাজ পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের কথায়, এই সম্পর্ক যদি মেনে নেওয়া হয় সেক্ষেত্রে সোনুকে তাঁর দাদু নাতি বলবেন না জামাই! নিজের মায়ের ছেলে না জামাই হবে সে! এই প্রশ্নগুলি তুলেছেন তাঁরা। যদিও একে অপরের হাত ছাড়তে নারাজ সোনু ও তাঁর বিবাহিতা স্ত্রী। শেষমেশ ঘটনায় হস্তক্ষেপ করে পুলিশ।

ওই যুগলের যাতে প্রাণের সংশয় না হয় তার জন্য পরিবারকে বিষয়টি বোঝায় পুলিশ। এরপর যুগলকে বুঝিয়ে শুনিয়ে পাঠানো হয় বাড়ি। সোনুর পরিবার তাঁকে বাড়ি ঢুকতে দিতে রাজি হলেও এই বিয়ে কোনওভাবেই মেনে নিতে নারাজ গ্রামবাসী। তাঁদের কথায়, “এই বিয়েকে সামাজিক স্বীকৃতি দেওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। কোনওভাবেই তাঁরা এক অপরকে বিয়ে করতে পারে না।” 

close