নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে নবম-দশমেও সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। গ্রুপ-ডি, গ্রুপ-সি এর পর নবম-দশমেও দুর্নীতির অভিযোগ আনা হল। এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘প্যানেলে নাম নেই, তা সত্ত্বেও কীভাবে নিয়োগ? এটা চরম বিস্ময়ের, তদন্ত করুক জয়েন্ট ডিরেক্টর। কী করে এটা হল খুঁজে বের করতে হবে সিবিআইকে’।
‘এই দুর্নীতির পিছনে কারা আছে খুঁজে বের করুক সিবিআই। নেপথ্যে আর্থিক লেনদেন থাকলেও খুঁজে বের করুক। যাঁদের হাতের পুতুল সরকারি অফিসাররা, তাঁদেরও খুঁজে বের করতে হবে। এসএসসি-র চেয়ারম্যানের রিপোর্টেও তালিকার বাইরে নিয়োগের উল্লেখ।' ২৮ মার্চের মধ্যে সিবিআই-কে প্রাথমিক রিপোর্ট জমার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রধান বিচারপতির তরফে।
এসএসসি-র নবম ও দশম শ্রেণির নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। ফলে দীর্ঘদিন ধরে চাকরিপ্রার্থীরা বিভিন্ন জায়গায় যেভাবে রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছেন, প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরে বেরিয়েছেন, এদিনের রায়ে তাঁদের প্রাথমিক জয় হল বলেই অভিজ্ঞ মহল মনে করছে।
আবেদনকারীদের আইনজীবী জানিয়েছেন, নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে, তা হাইকোর্ট প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের পর নিশ্চিত। যে যে অভিযোগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চলছে, তা মান্যতা পেয়েছে আদালতে। মূল অভিযোগ ছিল, নিয়োগে পুরোপুরি টাকার খেলা চলেছে। ফেল করা প্রার্থীকেও চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। তালিকায় নাম না থাকা বা অনেক নিচে থাকা প্রার্থীরা চাকরি পেয়েছেন, অথচ বঞ্চিত হয়েছেন যোগ্যরা।