Kode Iklan atau kode lainnya

এনওসি নিয়ে গড়িমসি! এজলাসে দাঁড়িয়েই ক্ষমা প্রার্থনা, ১০ হাজার টাকা জরিমানা প্রধান শিক্ষকের

নিউজ ডেস্ক: এজলাসে দাঁড়িয়েই মুচলেকা দিলেন প্রধান শিক্ষক। তারপরেও মিলল না রেহাই। এক সহকারী শিক্ষককে হেনস্থা করার অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করল কলকাতা হাইকোর্ট। নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়া আদর্শ বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক মামলার ক্ষতিপূরণ হিসাবে ১০ হাজার টাকা জরিমানা মেটাবেন।

জানা গেছে, ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রীতম পালিত পিএইচডি করার জন্য ছাড়পত্র (এনওসি) চেয়েছিলেন স্কুলের কাছে। যদিও স্কুল তা দিতে গড়িমসি করে। সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে দেখে তড়িঘড়ি কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন প্রীতম। গত শুক্রবার উচ্চ আদালত তিন দিনের মধ্যে ওই শংসাপত্র ইমেল মারফত দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই মতো স্কুল কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষককে শংসাপত্র দিলেও তাতে চারটি শর্তও বেঁধে দেন। যা মেনে নেওয়া ওই শিক্ষকের পক্ষে সম্ভব ছিল না। বিচারপতিও ওই শর্তগুলো শুনে অবাক হয়ে যান।

শর্তে বলা হয় এক, পিএইচডি ডিগ্রি করার পর তিনি কোনও আর্থিক সুবিধা নিতে পারবেন না। দুই, ডিগ্রির পঠনপাঠন চলাকালীন কোনও ছুটি নিতে পারবেন না। তিন, ওই ডিগ্রি অন্য কোনও চাকরি বা প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার করলে বয়সকালীন ভাতার দাবি করতে পারবেন না। চার, স্কুলের দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত করা যাবে না। স্কুলের শর্তগুলির পরই চার দিনের মধ্যে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং প্রশাসককে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। 

আদালতের নির্দেশ মতো শুক্রবার আদালতে হাজির হন প্রধান শিক্ষক। তাঁর যুক্তি শুনে উষ্মা প্রকাশ করেন বিচারপতি। ওই শিক্ষককে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য রাজ্যের কাছে সুপারিশ করে আদালত। এর পরই আগের অবস্থান পাল্টে নিজের ভুল স্বীকার করেন ওই প্রধান শিক্ষক। তাঁকে যাতে পদ থেকে সরানো না হয় বিচারপতির কাছে বার বার অনুরোধ করেন। আদালতের কাছে মুচলেকা দিতেও প্রস্তুত হন প্রধান শিক্ষক। বিচারপতির অনুমতি নিয়ে এজলাসে দাঁড়িয়েই ক্ষমা প্রার্থনা করে মুচলেকা দেন প্রধান শিক্ষক। তিনি জানান, পরিস্থিতি বুঝতে তাঁর ভুল হয়েছে। সেই হেতু তিনি এই মামলার ক্ষতিপূরণ বাবদ ১০ হাজার টাকা জরিমানা দেবেন। শেষ পর্যন্ত আদালত তাঁকে মুচলেকার শর্তেই এ যাত্রায় ক্ষমা করে। আদালতই স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে ওই মামলাকারী শিক্ষক প্রীতমকে শংসাপত্র দেন। 

close