Kode Iklan atau kode lainnya

একই সঙ্গে পালনীয় এবং ছুটি লেখা! স্কুলের বার্ষিক ছুটির তালিকা ঘিরে বিভ্রান্তি

 

নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ স্কুলের বার্ষিক ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে। রাজ্যের সমস্ত মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক  বিদ্যালয়গুলির জন্য এই ছুটির তালিকা প্রযোজ্য হবে। 

২০২২ শিক্ষাবর্ষের জন্য  মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক  বিদ্যালয়গুলির জন্য মডেল ছুটির লিস্ট প্রকাশ করেছে। ৬৫ দিনের ছুটির লিস্টে মোট লিস্টেড ছুটি ৫৭ দিন। এর সঙ্গে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রয়োজন অনুসারে ০৮ দিন ছুটি দিতে পারে। এই লিস্ট প্রকাশ করলেন বোর্ড সচিব (একাডেমিক) ঋতব্রত চ্যাটার্জী। যদিও শিক্ষকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সেই ছুটির তালিকায় কিছু বিশেষ দিনের ক্ষেত্রে একসঙ্গে পালনীয় এবং ‘ছুটি’ লেখা রয়েছে। ওই দিনগুলি বছরে ৬৫টি ছুটির মধ্যেই ধরা হয়েছে। 

শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারীর মতে, “এর ফলে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। যদি সেই দিনগুলিতে ছুটি থাকে, তা হলে সেগুলি পালনীয় কী ভাবে হয়? আবার যদি পালনীয় হবে, তা হলে ছুটি কী করে হয়?” 

তাঁর বক্তব্য, যে দিনগুলি পালনীয়, সেগুলির ক্ষেত্রে ‘ছুটি কথাটি তুলে দেওয়া হােক। তা হলে সকলে উপস্থিত থেকে দিনটি পালন করতে পারবেন। বিভ্রান্তিও দূর হবে।

শুক্রবার এই তালিকা প্রকাশের পরে দেখা গিয়েছে, গ্রীষ্মাবকাশ মাত্র ১১ দিনের। অন্যদিকে, পুজোর ছুটি দেওয়া হয়েছে ২৪ দিন। মোট ৬৫ দিন ছুটি অপরিবর্তিতই রয়েছে। তার সঙ্গে যুক্ত হবে ৫২ দিন রবিবারের ছুটি।

শেষ কয়েক বছর দেখলে দেখা যাবে গ্রীষ্মের দাবদাহের কারণে প্রতিবছর অতিরিক্ত ছুটি দিতে হচ্ছে। ফলে আগামী বছরের ছুটিও অন্যবছরের মতো বাড়তেই পারে। তখন মোট ছুটিও বেড়ে যাবে। অথচ, পুজোর ছুটি ১৮দিন রেখে দিয়ে সেই বাড়তি ছুটি গরমের সময় দেওয়া যেত। তাহলে গ্রীষ্মাবকাশ বাড়ানোরও প্রয়োজন পড়ত না। বরং পুজোর সময় আবহাওয়া অনুকূল থাকে। 

close