নিউজ ডেস্ক: এমএ ইংলিশ চাওয়ালি’র দোকান ভেঙে দিল আরপিএফ! বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল। দোকানটির কোনও বৈধতা নেই বলে দাবি রেল পুলিশের।
হাবড়া স্টেশনে নতুন স্টলটি ভেঙে দিল হাবড়া পোস্টের আরপিএফ (RPF)। রেল পুলিশের এই আচরণের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃণমূল। এই ঘটনা নিয়ে প্ল্যাটফর্মে মিছিল-ও করেন তৃণমূল কর্মীরা।
উচ্চ শিক্ষিত হলেও চাকরি জোটেনি। তবে কারোর মুখাপেক্ষা হয়ে থাকতে রাজি নয় ওই যুবতী। শিক্ষাগত যোগ্যতা ইরেজিতে মাস্টার্স ডিগ্রি। চায়ের দোকান খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন টুকটুকি দাস। হাবড়া স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে একটি চায়ের দোকান ভাড়ায় নেন তিনি। এর পরই ‘এমএ ইংলিশ চাওয়ালি’ জীবনযুদ্ধে ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
টুকটুকির পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে আসে তৃণমূল। মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক চাকরি দিতে চাইলেও টুকটুকি চায়ের ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হতে চান। এরপর ভাড়ার বদলে তাঁকে স্থায়ী দোকান করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল। তবে দোকানের জায়গা বদল হয়নি। স্থানীয় পুরসভার ও তৃণমূলের কর্মীরা স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে একটি স্টল বানিয়ে বসিয়ে দেয় টুকটুকিকে।
আরপিএফ সূত্রে বলা হয়েছে, স্টলটির কোনও বৈধতা না থাকায় তা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। যদিও পালটা মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “আমরা দু’এক দিনের মধ্যে আবার স্টলটি বসিয়ে দেব। টুকটুকি চাকরি নিতে চায়নি। ব্যবসা করতে চায়। তাই দলের এই সিদ্ধান্ত। আগে ১৮০০ টাকা ভাড়া দিতে হত টুকটুকিকে। তাঁর সেই খরচ বাঁচাতেই এই পরিকল্পনা নিয়েছিল দল।”
এদিন স্টল সরানোর পরই ক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা দফায়-দফায় বিক্ষোভ দেখান স্টেশনে। তৃণমূলের অভিযোগ, হাবড়া স্টেশনে সাট্টা-জুয়া-গাঁজার ঠেক চলছে রমরমিয়ে। একই পরিস্থিতি চাঁদপাড়া, বনগাঁ স্টেশনে। তখন আরপিএফ কোনও পদক্ষেপ করে না। অথচ একজন শিক্ষিত মহিলা চা বিক্রি করতে পারবেন না, এটা হতে পারে না, দাবি তৃণমূলের। এনিয়ে আন্দোলনের হুমকিও দেয় তাঁরা।