নিউজ ডেস্ক: বাংলা জয়ের পর তৃণমূলের এখন লক্ষ সর্বভারতীয় স্তরে নিজেদের সংগঠন শক্তিশালী করা। পাখির লক্ষ্য এখন গোয়া এবং ত্রিপুরা জয়। বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা ভোটে ভালো ফল করে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে নিজেদের শক্তিশালী অবস্থান দেখাতে চায় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। গোয়ায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে নজরে রেখেই এগোচ্ছে জোড়াফুল শিবির। সেই দিকেই ইঙ্গিত করে মমতা বললেন, ‘‘যা বলব, করে দেখাব। রাজনীতিকদের এটাই নীতি হওয়া উচিত। গোয়ায় এসে খুব ভাল লাগল। আবার আসব।’’
শুক্রবার সকালেই পানাজিমে গোয়ার তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে মমতা বলেন, ‘‘আমি বহিরাগত নই। আমি বাংলার মেয়ে, ভারতের মেয়ে। বাংলার মতো গোয়াও আমার মাতৃভূমি।’’
এর পরই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে ‘বহিরাগত’ কটাক্ষ করেছিলেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় তথ্য-প্রযুক্তি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। টুইটে তিনি লিখেছিলেন, ‘গোয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহিরাগত। বাংলায় বিভাজনমূলক প্রচার চালিয়েছিলেন তিনি। তিনি দাবি করেন, তিনি ধর্মনিরেপক্ষ। বাংলায় বিজেপি কর্মীদের খুন, ধর্ষণ করেছিল তাঁর দলের কর্মীরা, বিশেষত মুসলমানরা। তিনি কোনও কথা বলেননি। ওঁর হাতে রক্ত আছে।’
এর পর আবার সন্ধ্যায় বিশিষ্টদের সঙ্গে বৈঠকে মমতা বললেন, ‘‘আমি বহিরাগত নই। আমি যেমন বাংলার মেয়ে, তেমনই গোয়ার মেয়ে। আমি আপনাদের বোনের মতো। বাংলাও আমার মাতৃভূমি, গোয়াও আমার মাতৃভূমি।’’ সেই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘‘আমি ভারতের যে কোনও জায়গায় যেতে পারি। যেতে পারি না অসম, উত্তরপ্রদেশে। এখানে আসার আগে আমার পোস্টার ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। ত্রিপুরায় তো মারধর করেই যাচ্ছে।’’
পাশাপাশি, বিজেপি-র বিরুদ্ধে বিভেদের রাজনীতির অভিযোগ তুলে মমতা বললেন, ‘‘বিজেপি মানুষের মনে বিদ্বেষ তৈরি করার চেষ্টা করছে। আমরা বিভাজনের রাজনীতি করি না। বিভেদমূলক রাজনীতিকে আমরা কখনওই প্রশ্রয় দিই না। গোয়ায় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষা করব আমরা।’’