Kode Iklan atau kode lainnya

স্কুলে আসার সময় ১০.৩০টা এবং করোনা বিধি ও সামাজিক দূরত্বের নির্দেশ অনুসারে অলটারনেটিভ শিফট ভিত্তিতে ক্লাস চাইছে শিক্ষক শিক্ষিকারা

 

নিউজ ডেস্ক: শিক্ষা দপ্তর ও রাজ্য সরকারের আগামী ১৬ই নভেম্বর থেকে স্কুলে  IX-XII এর ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছে সিংহভাগ শিক্ষক শিক্ষিকারা। এছাড়াও, স্কুলে ক্লাস শুরুর জন্য লোকাল ট্রেন চালুর সিদ্ধান্তও যথোপযুক্ত ও প্রশংসিত বলেই মত প্রকাশ করেছে তারা। আগামী ১৬ই নভেম্বর থেকে নবম-দ্বাদশ শ্রেণীর ক্লাস শুরু হচ্ছে। যার জন্য শিক্ষা দপ্তর একাধিক গাইডলাইন ও নোটিফিকেশন প্রকাশ করেছে। শিক্ষা দপ্তরের করোনা ও সামাজিক দূরত্ব সহ গাইডলাইন অনুসারে  চারটি ক্লাস বেশীরভাগ স্কুলেই একসাথে ক্লাস নেওয়া বাস্তবে  সম্ভবপর নয়। নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো, বেঞ্চ, ক্লাসরুম, লাইট, ফ্যান, পর্যাপ্ত বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক-শিক্ষিকা বহু স্কুলে নাই। রাজ্যের বহু স্কুলে চারটি ক্লাসে প্রায় ৮০০- ১২০০ ছাত্র ছাত্রী আছে। 

বোর্ডের নোটিফিকেশন অনুসারে দুটি করে ক্লাসের ছাত্র ছাত্রীদের রিপোর্টিং টাইম ও স্কুলে প্রবেশের সময় আলাদা করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে করোনা বিধি ও সামাজিক দূরত্ব বিবেচনা করা হয়েছে। কিন্তু, মাঝের সাড়ে চার ঘন্টা চারটি ক্লাসের ছাত্র ছাত্রীরা একসাথে ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যা স্কুলের পরিকাঠামো গত ভাবে বাস্তবিক সম্ভব নয় বলেই মনে করছে শিক্ষক মহল। শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী, বলা হচ্ছে একটি বেঞ্চে সর্বাধিক দুজন করে ছাত্র বসবে, সেক্ষেত্রে এই বহু সংখ্যক ছাত্র ছাত্রী বোর্ডের নিয়মানুযায়ী একসাথে কিভাবে ক্লাস হবে, সে বিষয়ে তারা পুর্নবিবেচনা করার আবেদন জানাচ্ছে।  সুতরাং, ক্লাস রুটিন / সিডিউল তৈরী করে ক্লাস পরিচালনার দায়িত্ব স্কুলের পরিকাঠামো ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয় অনুসারে স্কুলকেই উপরেই দেওয়া হোক। 

বহু ছাত্র ছাত্রী, শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী বহু দূর দূরান্ত থেকে স্কুলে আসে, এমতাবস্থায় সকাল ৯.৩০ টায় স্কুলে পৌছানোর নির্দেশ নিয়ে পুনরায় ভাবনা চিন্তা করা উচিত। বর্তমানে যে পরিমাণ ট্রেন চলছে, তা সংখ্যায় অপ্রতুল ও কম। এছাড়াও, স্কুলে রিপোর্টিং সময় ১০.৩০ ও ক্লাস শুরু ১১ টা করা হোক, কারণ বহু  শিক্ষক,শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী ২-৩ ঘন্টা যাতায়াত করে স্কুলে আসে। ছাত্র ছাত্রীদের আর্থ সামাজিক অবস্থা এবং বহু শিক্ষক,শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী ভিন্ন জেলায় ও দূরবর্তী স্থানে কর্মরত থাকায় দূর দূরান্ত যাতায়াত করতে হয়। দীর্ঘদিন ক্লাস বন্ধের পর হঠাৎ ক্লাস শুরুর ঘোষণা সত্যিই প্রশংসনীয় সিদ্ধান্ত।  তবুও স্কুল ওপেনিং  সংক্রান্ত বিষযগুলি এতো  কড়াকড়ি ও বিধিগুলি কতটা যুক্তিসঙ্গত সে বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করা দরকার শিক্ষা দপ্তরের। শিক্ষক শিক্ষিকারা অবশ্যই চাইছে স্কুল স্বাভাবিক হোক ও ক্লাস চলুক।  কিন্তু করোনা বিধি মেনে এতো সংখ্যক ছাত্র ছাত্রীদের পরিপ্রেক্ষিতে এই রোস্টার ভিত্তিক ক্লাস যুক্তিসঙ্গত নয়। 

পরিকাঠামো ও পরিস্থিতি মতো দুটি শিফটে ক্লাস হোক। সেটি একদিন ছাড়া অলটারনেটিভ ভাবে হতে পারে। অর্থাৎ, IX ও XI একদিন এবং X ও XII পরেরদিন ক্লাস নেওয়া হলেই তবেই করোনা ও সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে ক্লাস চালানো স্কুলগুলির পক্ষে সম্ভব হবে। সুতরাং,  ক্লাস শুরুর আগেই সময় ও ক্লাস বন্টন বিবেচনা করে স্কুল সংক্রান্ত গাইডলাইন চূড়ান্ত করা হোক।  এছাড়াও, বহু স্কুল ক্যাম্পাসে মর্নিং ও ডে সেকশনে দুটি বিভাগের ক্লাস চলায় নতুন সময়সূচীতে সমস্যা হবে। 

নোটিফিকেশনটি মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও শিক্ষা দপ্তর যাতে পুর্নবিবেচনা করে সেইজন্য শিক্ষক সংগঠন "অল পোস্ট গ্ৰ্যজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশন" চাইছে  সংশোধিত গাইডলাইন প্রকাশ হোক। সংগঠনের সম্পাদক চন্দন গরাই বলেন, "ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্তকে রাজ্যের শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা  স্বাগত জানিয়েছে।  তবে শিক্ষা দপ্তরের ক্লাস পরিচালনার গাইডলাইন অনুসারে বেশীরভাগ স্কুলে একসাথে ক্লাস চালানো অসম্ভব। সেরকম পরিকাঠামো ও শিক্ষক শিক্ষিকা স্কুলগুলিতে নাই। অলটারনেটিভ ভিত্তিতে ক্লাসের নির্দেশ দিক মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এছাড়াও, ক্লাস শুরু ও রিপোর্টিং সময় আগের মতোই করা হোক। একসাথে এতো সংখ্যক ছাত্র ছাত্রীদের ক্লাসের ফলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে।"

close