Kode Iklan atau kode lainnya

‘এর থেকে তো মরে যাওয়ায় ভালো, দয়া করে এইবার অন্তত রেজাল্ট দিন’, চাকরি প্রার্থীর ভাইরাল ভিডিও

  

নিউজ ডেস্ক: এর আগে ঘোষণা করা হয়েছিল শীঘ্রই প্রকাশ করা হবে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা টিচার এলিজিবিলিটি টেস্টের ফল। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে পরীক্ষা হলেও এখনও সেই ফল এখনও প্রকাশ করা হয়নি। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য ঘোষণা করেছিলেন পুজোর আগেই ফলপ্রকাশ করা হবে প্রাথমিকের টেটের। যদিও এখনও পর্যন্ত তা করা হয়নি। 

দীর্ঘ অপেক্ষার পরেও প্রাথমিকের টেটের ফল প্রকাশ না হওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছেন রাজ্যের কয়েক লক্ষ চাকরি প্রার্থী। এরই মধ্যে এলটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। নিজেদের অসহায়তার কথা তুলে ধরে হয়েছে ওই ভাইরাল ভিডিওটিতে।

চাকরি প্রার্থীর আর্তি-

"মাননীয় মানিক বাবু আপনাকে বলছি, আজ পাঁচ বছর আমরা অসহ্য যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। সব জেনেও আপনি নট ইনক্লুডদের কথা বলছেন। আপনি কিছু একটা পরিষ্কার করে বলুন যে ফল কবে বের হবে। কিন্তু আপনি বলছেন না, আপনি সব ধোঁয়াশার মধ্যে রাখছেন। আপনি কি আমাদের দুঃখ বুজতে পারছেন না? হয়তো আপনি দেখেও দেখছেন না। আমাদের বয়স থেমে নেই। আমরা আর পারছি না। নয় মাস হয়ে গেল রেজাল্ট হল না। আপনি তো নিজেই বলেছেন পুজোর আগে রেজাল্ট বের হবে। কিন্তু হল না। পাঁচ বছর আমাদের জীবন থেকে নষ্ট হয়ে গেল। দয়া করে রেজাল্ট বের করুন। ফোন করলে ফোন কেটে দিচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন পুজোর আগে নিয়োগ হবে। কিন্তু আপনি তা হতে দিলেন না। আমরা চাই না আপনাকে ফোন করে ডিস্টার্ব করি। কিন্তু আপনি পরিষ্কার করে কিছু বলছেন না।

আমাদেরকে এই ভাবে তিলে তিলে আমাদের মারবেন না। আমরা বাঁচতে চাই। দয়া করে রেজাল্ট বের করে আমাদেরকে বাঁচতে দিন। আমাদের মুখে আপনি চুন-কালি মাখিয়ে দিয়েছেন। শুধুমাত্র আপনার জন্য আমরা আজ ভিকারীর মত অবস্থায় পড়ে আছি। এই ভাবে আমাদেরকে মারছেন কেন? আপনি এই পুজোর দিনগুলোতে আমাদের হাঁসি কেড়ে নিয়েছে। দয়া করে এটা করবেন না। আমাদের বিনীত আবেদন আপনি এবার রেজাল্ট বের করুন। আমাদের সবার জীবন শেষ হয়ে যাচ্ছে। পরীক্ষা হয়ে গেল নয় মাস কিন্তু এখনও রেজাল্ট দিলেন না। দয়া করে এই বার রেজাল্টটা অন্তত দিন। এর থেকে তো মরে যাওয়ায় ভালো……দয়া করে এইবার অন্তত রেজাল্ট দিন।"দেখুন ভিডিও- 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই বছর যেই পরীক্ষাটি হয় তা ২০১৭ সালে হওয়ার কথা ছিল। চারবছর পর চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় শেষমেষ। রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে অনিয়ম এবং ক্ষোভ দীর্ঘদিনের। নিয়োগ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বছরের পর বছর মামলা চলছে টেট নিয়ে। এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষায় স্বচ্ছতা বজায় রাখা এখটি বড় চ্যালেঞ্জ পর্ষদের কাছে। 

পরীক্ষার ফলের অপেক্ষায় আছেন রাজ্যের কয়েক লক্ষ্য চাকরি প্রার্থী। এরই মধ্যে পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর একটি অডিও বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই ভিডিওটি সত্যতা বিশ্ব বার্তা যাচাই করেনি। এই ভিডিওটিতে পর্ষদ সভাপতি ২০১৪ সালের নন ইনক্লুডেড চাকরি প্রার্থীদের কথা তুলে ধরছেন। তাঁদের আন্দোলনের কারণেই যেন বর্তমান এই পরিস্থিতি এমনই দাবি করছেন তিনি। তিনি বলছেন, একটা চাকরির পরীক্ষায় সবাই নিয়োগ পাননা, তারপরেও সবাইকে নিয়োগ দিতে হবে বলে আন্দোলন করছেন নট ইনক্লুডেড চাকরি প্রার্থীরা। পর্ষদ সভাপতির বক্তব্য অনুসারে, এই সব কারণে রাজ্যকে ভাবতে হচ্ছে। ফলে ফল প্রকাশে দেরি হচ্ছে।

close