Kode Iklan atau kode lainnya

অনেক রাজনীতিকেরই বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে, শোভনের বেলায় কেন এত কাদা ছোড়াছুড়ি? প্রশ্ন বৈশাখীর

 

নিউজ ডেস্ক: দশমীর সন্ধ্যায় বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঁথিতে সিঁদুর দিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শোভনের বিবাহিত স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। শনিবার শোভনের বৈশাখীকে সিঁদুরদান নিয়ে মুখ খুলেছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়।তিনি বলেন, ‘‘হিন্দু বিবাহ আইন অনুযায়ী আমি এখনও শোভনের স্ত্রী। তাই ও অন্য কাউকে সিঁদুর পরাতে পারে না।’’

এ বার রত্নাকে পাল্টা জবাব দিলেন বৈশাখী। তিনি বললেন, ‘‘ওর (রত্নার) বাণীগুলো শুনলাম। কিন্তু আমি কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি নই। কারণ, আমার জীবনে ওর কোনও অস্তিত্বই নেই।’’

এর আগে বৈশাখীকে ‘রক্ষিতা’ বলেও কটাক্ষ করেছেন রত্না। তাঁর কথায়, ‘‘হিন্দু বিবাহ আইন অনুযায়ী আমি এখনও শোভনের স্ত্রী। তাই ও অন্য কাউকে সিঁদুর পরাতে পারে না। স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও যদি কেউ অন্য কোনও স্ত্রীলোকের সঙ্গে থাকে, তাহলে ওই স্ত্রীলোককে সমাজ ‘রক্ষিতা’ বলে। রক্ষিতাকে সিঁদুর পরালেই সে স্ত্রী হয়ে যায় না।’’ এর পরই পাল্টা জবাবে বৈশাখী বললেন, ‘‘শোভন চাইলে প্রতিক্রিয়া দিতে পারেন। আমি দেব না। ও (রত্না) বেঁচেই থাকে আমার নাম করে। ওটা আমাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এখানে কারও কিছু বলার থাকতে পারে না।’’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘‘এটা আমার আর শোভনের সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বিষয়। শোভন যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা শোভনের। আমি যা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তা আমার। আর এই সম্পর্কটা গুরুত্বপূর্ণ না হলে শোভন এটাকে স্বীকৃতি দিত না। কোনটা গুরুত্বপূর্ণ আর কোনটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, তা সমাজ ঠিক করে দেবে না। অনেক রাজনীতিকেরই বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। শোভনের বেলায় কেন এত কাদা ছোড়াছুড়ি? মনোজিৎকে যে দিন আমি মন থেকে মুছে ফেলেছি, সে দিনই আমাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। খাতায় কলমে কী রইল, তা নিয়ে ভাবিত নই।’’

‘রক্ষিতা’ মন্তব্য নিয়েও রত্নাকে কটাক্ষ করে বৈশাখী বলেন, ‘‘ও (রত্না) এখন যে বাড়িতে থাকেন, সেটা তো আমি কিনে নিয়েছি। রক্ষিতার বাড়িতে আশ্রিতা হয়ে আছেন কেন? এখন তো ছুটি চলছে। ছুটি মিটলেই বাড়ি ছাড়ার নোটিস পাঠাব।’’

এর আগে রত্না বলেছিলেন, ‘‘ওরা যা পারছে করছে। কিন্তু ভুলে যাচ্ছে দেশে এখনও আইন রয়েছে। শোভন আইনত এখনও আমার স্বামী।’’ তিনি আরও বলেন,‘‘দুর্গা প্রতিমার পেছনে একটা বাঁশ থাকে জানেন তো। আমিই সেই বাঁশ। ওরা বিয়ের কথা ভাবুক। তারপর আমি দেখছি, কী করা যায়। পুজোর সময় ফোন করে শোভন একবারও ছেলে-মেয়ের খোঁজ নেয়নি।’’

শোভনের শ্বশুর মশাই তথা মহেশতলার বিধায়ক দুলাল দাস সরাসরি শোভন-বৈশাখীর এমন সিঁদুর পরানোর ঘটনাকে ‘ব্যভিচার’ বলে আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আসলে ওরা সমাজকে দূষিত করছে। তাই প্রশাসনের উচিত ওদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করা। পাগল হয়ে ওরা যা ইচ্ছে তাই করে বেড়াচ্ছে। ওরা যা করছে তাকে ব্যভিচার ছাড়া আর কিছুই বলে না।’’

উল্লেখ্য, গত তিন বছর ধরে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে শোভন-রত্নার মধ্যে। এখনও সেই মামলার নিষ্পত্তি হয়নি।

close