Kode Iklan atau kode lainnya

এক বছর হয়ে গেলেও বিএডের প্রথম সেমেস্টারের পরীক্ষা নিতে পারেনি বিএড বিশ্ববিদ্যালয়, দুশ্চিন্তায় পড়ুয়ারা

 

নিউজ ডেস্ক: শিক্ষাবর্ষ ২০২০-২০২২! অর্থাৎ এক বছর প্রায় অতিক্রান্ত। অথচ প্রথম সেমেস্টারের পরীক্ষা নিতে পারেনি রাজ্যের বিএড বিশ্ববিদ্যালয়, দি ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অব টিচার্স ট্রেনিং, এডুকেশন প্ল্যানিং অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্টেশন (ডব্লুবিইউটিটিইপিএ)। অন্যদিকে বেশকিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজে তৃতীয় সেমেস্টারের ক্লাস শুরু হয়ে গিয়েছে। 

এর আগে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজের সংখ্যা ছিল ৪৬২। যদিও, চলতি বছরে বর্ধমান এবং পুরুলিয়ার সিধো কানহু বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজগুলি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এসেছে। ফলে মোট কলেজের সংখ্যা এখন ছ’শো পেরিয়েছে। মোট পড়ুয়ার সংখ্যা ৫৫ হাজার।

এক বছর হয়ে গেলেও পরীক্ষা না হওয়ায় হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী এখনও দুশ্চিন্তার প্রহর গুনছে। যদিও, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদিও কারণ হিসেবে কোভিডকেই দায়ী করছে। উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কোভিডের জন্য পরীক্ষা নেওয়া যায়নি। তবে, দ্রুতই রুটিন ঘোষণা করবেন পরীক্ষা নিয়ামক। সবই ঠিক হয়ে গিয়েছে। 

এই নিয়ে পরীক্ষা নিয়ামক অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই মুহূর্তে ৬১১টি কলেজে ৫২ থেকে ৫৫ হাজার ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করছেন। কোভিড পরিস্থিতিতে এত পড়ুয়া নিয়ে পরীক্ষা গ্রহণ একটি রাজসূয় যজ্ঞ আয়োজনের চেয়ে কম কিছু নয়। আমরা ঠিক করেছি, ২৫ অক্টোবর পরীক্ষা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করব। তারপর ফর্ম ফিল-আপের পর্ব চলবে। খুব সম্ভবত, ১১ নভেম্বর থেকে ১৭ নভেম্বর পরীক্ষা নেওয়া হবে। এটা ঠিকই যে, পেশাদার কোর্স হওয়ায় যথাসময়ে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে আমাদের উপর চাপ থাকে। আমরা কিন্তু ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের বিএড এবং এমএড পরীক্ষা যথাসময়ে শুধু শেষই করিনি, পরীক্ষার্থীদের হাতে মার্কশিটের হার্ডকপিও তুলে দিয়েছি।”

অনেকে মনে করছেন, বেসরকারি বিএড কলেজগুলির কম পড়ুয়া ভর্তির হারও পরীক্ষা পিছনোর অন্যতম কারণ। বহু কলেজেই পড়ুয়ার অভাবে ক্লাস শুরু করতে জুন হয়ে গিয়েছে। তাঁদের অনুরোধেই বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা নিতে দেরি করেছে বলে অভিযোগ তাঁদের।

close