Kode Iklan atau kode lainnya

নজিরবিহীন নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের, ১৫ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের তালিকা জমা দেওয়ার নির্দেশ

 

নিউজ ডেস্ক: আবারও নিয়োগের দুর্নীতি নিয়ে বড়  অস্বস্তিতে পড়ল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ২০১৪ টেট নিয়ে বড়সড় অস্বস্তিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। নথি ছাড়াই নিয়োগ অভিযোগে জনস্বার্থ মামলা। নিযুক্ত ১৫০০০ প্রাথমিক শিক্ষকের বিশদ তালিকা হাইকোর্টে পেশ করতে নির্দেশ ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চের। 

আজ ডিভিশন বেঞ্চে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে জনস্বার্থ মামলার শুনানি হয়। সেখানে একাধিক নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১৭ সালে প্রায় ১৫ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। এই নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষকদের তালিকা জমা করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এই তথ্য খতিয়ে দেখতে পারে আদালত। নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষকদের বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে। নজিরবিহীন নির্দেশ আদালতের। আগামী ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিস্তারিত তথ্য জমা দিতে হবে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সমস্ত তথ্য মিলিয়ে দেখবে।

উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে এক নজিরবিহীন দুর্নীতির তথ্য কিছুদিন আগে সামনে আসে। স্বদেশ দাস নামে একজনের বিষয়টি সামনে আসতেই আরও ১২ জনের নাম সামনে আসে। যােগ্যতা সংক্রান্ত নথি না থাকা সত্ত্বেও প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পেয়ে গিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। পরে নিজেদের ত্রুটি ধরতে পারে উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। 

একাধিকবার নথি চাওয়া হয় ওই ব্যক্তির কাছে। যদিও ওই ব্যক্তি তা দাখিল করেননি। ফলে তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে সংসদ। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন ওই ব্যক্তি। সেখানেই পর্দা ফাঁস হয়। সওয়ালে তিনি ১২ জন ব্যক্তির নাম করেন, যাঁরাও প্রয়ােজনীয় নথি ছাড়াই চাকরি পেয়েছেন। বিচারপতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। 

রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, এই মামলার কোনও ভিত্তি নেই। নিয়ােগ সংস্থার ভুলে কেউ চাকরি পেলে সেটা তাঁর অধিকার নয়। তবে, বাকি ১২ জনের বিষয়টি আমার অধীনে নয়। সেই কারণে তিনি মামলাটিকে জনস্বার্থ মামলায় রূপান্তরিত করে ডিভিশন বেঞ্চে পাঠান। সেই মামলাটিরই আজ শুনানি হয়। তাঁতে বড় নির্দেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিস্তারিত তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল।

২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট সহ একাধিক জায়গায় একাধিক মামলা হয়েছে৷ তবে এই প্রথম জনস্বার্থ মামলা গ্রহণ করা হল কলকাতা হাইকোর্টে৷ 

close