Kode Iklan atau kode lainnya

১০০-র মধ্যে কেউ পেয়েছেন ২০০.২৮, আবার কেউ ১৯৮.৩৮৫; মেধা তালিকা নিয়ে তোলপাড়

নিউজ ডেস্ক: সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইটে এমএড প্রবেশিকার মেধা তালিকা প্রকাশিত হয়। তারপরই পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে চরম বিভ্রান্তি। মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে মূল্যায়ন। তাতে কেউ পেয়েছেন ২০০, কেউ বা ১৯৮, আবার কেউ ১৫১। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনয় ভবনের এমএড প্রবেশিকার মেধা তালিকা দেখে অবাক সকলেই। 

কিভাবে এটা হল? কোন পদ্ধতি মেনে তা করা হয়েছে? উঠতে শুরু করে প্রশ্ন। এই খবর জানাজানি হতেই মঙ্গলবার রাতেই ওয়েবসাইট থেকে মেধা তালিকা সরিয়ে নেওয়া হয়। 

এমএড কোর্সে মোট আসন ৫০টি। যার মধ্যে ২৫টি আসন বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রীদের জন্য সংরক্ষিত। গত ১৪ সেপ্টেম্বর অনলাইনে নেওয়া হয়েছিল প্রবেশিকা। নিয়ম অনুযায়ী, পূর্ণমান ১০০-র মধ্যে ৬০ নম্বর লিখিত পরীক্ষার জন্য বরাদ্দ। বাকি ৪০ নম্বর আগের পরীক্ষায় প্রাপ্ত ফলের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়। প্রকাশিত মেধা তালিকায় দেখা যাচ্ছে, ভাষা বিভাগে দুই পড়ুয়া ১০০-র মধ্যে পেয়েছেন যথাক্রমে ২০০.২৮ ও ১৯৮.৩৮৫। আবার সমাজবিজ্ঞান বিভাগে দুই পড়ুয়ার প্রাপ্ত নম্বর যথাক্রমে ১৯৬.৩৬৭ ও ১৫১.২৭৫। 

বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গেছে, অনলাইনে পরীক্ষার পর পরীক্ষার্থীদের মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক স্তরের মূল্যায়নের শংসাপত্র পোর্টালে আপলোড করা বাধ্যতামূলক। সেগুলি ঠিকমতো যাচাই করা হয়নি বলেই মেধা তালিকায় এই গরমিল। কাউন্সেলিং পর্বে সব কিছু ভালোভাবে যাচাই করে, সঠিক মেধা তালিকার ভিত্তিতেই ভর্তি নেওয়া হবে।

এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরীক্ষার্থীর অভিযোগ, ‘মেধা তালিকার কোথাও ছাত্রাছাত্রীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এই তালিকা প্রকাশিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়নি। তাই, ভর্তি পর্বের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাই বা কী করে বিশ্বভারতীর জন্য সংরক্ষিত তালিকায় স্থান পেলেন? এটা চরম গাফিলতি।’

close