Kode Iklan atau kode lainnya

বাবা সাইকেলে কাপড় বিক্রি করেন, সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় 45তম স্থান দখল করে তাক লাগলেন ছেলে

Anil Basak

নিউজ ডেস্ক: ইউপিএসসি (ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন) পরীক্ষা অনেকের জন্য একটি স্বপ্ন কিন্তু মাত্র কিছুজনই তা অর্জন করতে সক্ষম।  সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার জন্য আবেদনকারী কয়েক লক্ষ প্রার্থীর মধ্যে মাত্র 0.2% প্রার্থী শেষ পর্যন্ত নির্বাচিত হয়। আজ আমরা আপনাকে অনিল বসাক (Anil Basak) সম্পর্কে বলব, যিনি চরম অর্থনৈতিক প্রতিকূলতাকে জয় করে এবারের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় সফলতা পেয়েছেন। 

এই বছর সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় 45তম স্থান দখল করেছেন বিহার কিষাণগঞ্জের অনিল বসাক। আইআইটি দিল্লি থেকে পাশ করার পর তিন বারের চেষ্টায় ইউপিএসসি-তে সাফল্য পেয়েছেন তিনি।

অনিল 2018 সালে ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনে (ইউপিএসসি) প্রথম প্রচেষ্টা করেছিলেন কিন্তু প্রিলিমিন্স অতিক্রম করতে পারেননি। একটি সাক্ষাৎকারে, অনিল বলেন, যে তিনি এই পরীক্ষার জন্য 2016 থেকে 2018 পর্যন্ত প্রচুর চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু প্রিলিমিন্স পাস করতে পারেননি।  তিনি আরও যোগ করেন, "সম্ভবত আমার কৌশল ভুল ছিল এবং আমি অহংকারী হয়ে পড়েছিলাম যে যদি আমি আইআইটি-দিল্লি পাস করতে পারি এবং তবে আমি যে কোনও পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারি।"

প্রথম প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হওয়ার পর, অনিল আশা হারাননি। পরিবর্তে, তিনি নিজের প্রতি ভরসা রাখেন এবং দ্বিতীয়বার ইউপিএসসি পরীক্ষা দিয়ে তিনি আইআরএস-এ 616 র‍্যাঙ্ক করেন।  এই ফলেও সম্পূর্ণভাবে সন্তুষ্ট ছিলেন না অনিল। তৃতীয় প্রচেষ্টায় অনিল ইউপিএসসি ২০২০-এর ফলাফলে 45 তম স্থান অর্জন করেছেন এবং বিহার ক্যাডারের সেবা করার ইচ্ছা পোষণ করেছেন।  

তবে সাফল্যের রাস্তাটা অত সহজ ছিল না অনিলের। অভাবের সংসারে বড় হয়েছেন অনিল। বাবা বিনোদ বসাক সাইকেলে ঘুরে ঘুরে কাপড় বিক্রি করেন। চরম অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও ছেলের পড়াশোনায় যাতে কোন ত্রুতি না থাকে, সারা জীবন সেই চেষ্টাই করে গিয়েছেন বিনোদ। বাবার সেই পরিশ্রম ও বলিদানের সঠিক মান দিলেন ছেলে অনিল ছেলের এই কৃতিত্বে অত্যন্ত গর্বিত বিনোদ। সারা পাড়ায় মিষ্টি বিতরণ করছেন তিনি। 

close