Kode Iklan atau kode lainnya

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত আদালত অবমাননার শুনানি সম্পন্ন হল, জানুন আপডেট

 

নিউজ ডেস্ক: ইচ্ছাকৃতভাবে আদালত অবমাননার অভিযােগ প্রশ্ন ভুল সংক্রান্ত মামলাটি আজ আদালতে ওঠে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলাটি ওঠে। এদিন সকাল ১১.৪০টার দিকে মামলাটির শুনানি হয়।  

আজ মামলার শুরুতে বিচারপতি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে খোঁজ করেন। মানিক ভট্টাচার্য কোর্টে উপস্থিত ছিলেন। বিচারপতি তখন ২০১৮ সালের রায় না মানা নিয়ে প্রশ্ন করেন। পর্ষদ সভাপতি বলেন, আমরা অর্ডার পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গে কাজ শুরু করে দিয়েছি। যিনি এই আদালত অবমাননার মামলা করেছিলেন তাঁর নিয়োগপত্র আমরা দিয়ে দিয়েছি। তিনি আজই গড়বেতার একটি স্কুলে শিক্ষক পদে যোগ দেবেন। আমরা বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছি। 

এদিন মামলাকারীদের পক্ষ থেকে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি তখন বলেন, এই বিষয়টি আদালতে রেকর্ড করে রাখা হোক। বিচারপতি এই বিষয়ে সহমত পোষণ করেন। 

এরপর বিচারপতি বলেন, যেহেতু যিনি এই মামলা করেছিলেন তার চাকরি দিয়ে দেওয়া হয়েছে, সুতরাং এই মামলা চালিয়ে যাওয়ার আর দরকার নেই। এরপরেই এই মামলাটি ডিসপোজ করে দেওয়া হয়। তবে একই সঙ্গে বিচারপতি বলেন এই নিয়োগ সম্পর্কিত একই রকম যে মামলাগুলো আছে, সেক্ষত্রে একই রকম রায় দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে পর্ষদ সভাপতিকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন বিচারপতি।

এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদ সভাপতির উদ্দেশে বলেন, বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় গত দুবছর আগে নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও কেন সেই নির্দেশ মানেননি? আপনি প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি। আপনি যদি আদালতের নির্দেশ অমান্য করেন তাহলে পরে যাঁরা এই পদে আসবেন তাঁরা কি আগামী দিনে নির্দেশ মানবেন? আদালত এদিন স্পষ্ট করে বলেছে, যাঁদের চাকরি দেওয়ার নির্দেশ বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় দিয়েছিলেন সকলের নিয়ােগ নিশ্চিত করতে হবে। যদিও পর্ষদ সভাপতি জানান, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ আদালতের নির্দেশ মতই কাজ করে চলছে।

আদালতে মানিক ভট্টাচার্য বলেন, “আমি অত্যন্ত দুঃখিত আমি সত্যিই তাদের পিতার সমতুল্য বিভিন্ন সমস্যার জন্য আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে বিলম্ব হয় তবে আমরা চেষ্টা করি যাতে আবেদনকারীরা যাতে উপযুক্ত সূরাহা পান আমি ভবিষ্যতে সেদিকে অবশ্যই নজর রাখব।”

এদিকে আজই প্রাথমিকের প্রশ্নভুল সংক্রান্ত আরও একটি মামলা কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে উঠবে। প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ এই মামলাটি বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি কেসং ডোমা ভুটিয়ার ডিভিশন বেঞ্চে উঠবে। ১১ নম্বর কোর্টের ১৩ নম্বর সিরিয়ালে মামলাটি আছে। মামলাটি আর্জেন্ট আবেদন হিসাবে শুনানি হবে।

close