নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে বিভিন্ন সময়। এবার আরও একটি অভিযোগ সামনে এল। বেশি নম্বর পেয়েও শিক্ষকপদে চাকরি পেলেন এক চাকরি প্রার্থী। অথচ তাঁর থেকে ৯ নম্বর কম পেয়েও চাকরি পেয়ে গিয়েছেন। এই নিয়ে মামলা হলে, উচ্চপ্রাথমিক স্তরে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা বিষয়ে বেশি নম্বর থাকা সত্ত্বেও কেন চাকরি দেওয়া হয়নি? এই প্রশ্ন তুলে চার সপ্তাহের মধ্যেই স্কুল সার্ভিস কমিশনকে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট।
উচ্চ প্রাথমিকন্তরে তাঁকে কেন নেওয়া হয়নি তা জানতে চেয়ে তথ্য জানার অধিকার আইনে (আরটিআই) আবেদন করেন আতিউর রহমান নামে এক চাকরিপ্রার্থী। উচ্চ প্রাথমিকে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা বিষয়ে ২০১৬-র বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নিয়ােগ প্রক্রিয়া শেষ হয় ২০১৯ সালে। আরটিআইয়ের যে উত্তর আসে তাতে দেখা যায় শেষ যে প্রার্থী চাকরিতে নিযুক্ত হয়েছেন তিনি আতিউরের থেকে প্রায় ৯ নম্বর কম পেয়েছেন এরপরই কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলার শুনানি হয়। শুনানি চলাকালীন স্কুল সার্ভিস কমিশন জানায়, নিয়ােগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর আরটিআই করেছেন চাকরিপ্রার্থী। কিন্তু মামলাকারীর কৌঁসুলি পাল্টা দাবি করেন, নির্ধারিত সময়ে আরটিআই করা হলেও তার উত্তর দিতে দেরি করেছে কমিশন।
উভয় পক্ষের বক্তব্য শােনার পর স্কুল সার্ভিস কমিশনকে বিচারপতির নির্দেশ, আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ওই প্রার্থীকে ডেকে তার সমস্ত নথিপত্র খতিয়ে দেখতে হবে। তিনি যদি যােগ্য হিসেবে বিবেচিত হন, তাহলে অবিলম্বে ওই চাকরি প্রার্থীকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।