নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে সম্প্রতি একের পর এক ভুয়া আধিকারিক ধরা পড়ছে। ভুয়া আইপিএস, ভুয়া সিবিআই, ভুয়া আধিকারিক! যেন লাইন পড়েছে। এবার রাজ্যে ধরা পড়ল ভুয়াে ভিক্ষাজীবী। ঘটনাটি সামনে আসতেই চক্ষু চড়কগাছ সবার।
ভিক্ষাজীবী ভেবে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পুরসভার ভবঘুরেদের রাত্রি-নিবাসে। কিন্তু জানা গেল, ভিক্ষাবৃত্তি তাঁর নেশা। তিনি সরকারি হাসপাতালের কর্মী! মাসিক বেতন প্রায় ষাট হাজার টাকা!
শুক্রবার রাতে বাঁকুড়া স্টেশন থেকে উদ্ধার করা ওই ব্যক্তি ছাড়া পাওয়ার জন্য আসল পরিচয় কবুল করেন বলে জানান বাঁকুড়া পুর-প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য দিলীপ আগরওয়াল।
মঙ্গলবার তাঁকে ছাড়া হয়। তাঁর স্ত্রীর দাবি, “টাকা জমানাের নেশাতেই চাকরির বাইরেও ভিক্ষা করেন স্বামী। শুনেছি, দু’টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। একটিতে বছর চারেক আগে প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা ছিল। তবে আমাকে ও মেয়েকে কানাকড়িও দেন না।”
পৌরসভার ভবঘুরেদের রাত্রি-নিবাস পরিচালনকারী সংস্থার সম্পাদক অরুণ সিংহ বলেন, ‘ভিক্ষুক পরিচয় পেয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও রবিবার ওই ব্যক্তি ছাড়া পাওয়ার জন্য জেদাজেদি করায় সন্দেহ হয়। উনি সরকারি কর্মী শুনে আমরা তাজ্জব!’
এদিকে ওই ব্যক্তির সহকর্মীরা জানান, ছেঁড়া ও নোংরা পোশাক পরলেও হাসপাতালে নিয়মিত যান তিনি। এক সহকর্মী বলেন, ‘আমরাও তাকে স্টেশনে, বাসস্ট্যান্ডে ভিক্ষা করতে দেখেছি বহু দিন। নিষেধ করলে বলেন, ‘চাকরি করলে ভিক্ষা করা যাবে না, এমন নিয়ম আছে না কি’?’’